বসন্তোৎসবে রবীন্দ্রভারতীতে অশ্লীলতায় তদন্তের নির্দেশ, উপাচার্যের ইস্তফা নিলেন না পার্থ
বসন্তোৎসব নিয়ে বিতর্কের জেরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর ইস্তফা গ্রহণ করা হচ্ছে না। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সাফ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বসন্তোৎসব নিয়ে বিতর্কের জেরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরীর ইস্তফা গ্রহণ করা হচ্ছে না। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে সাফ জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলে্ন, ছাত্রছাত্রীদের এই কদর্য মানসিকতা এবং অপসংস্কৃতির দায় একা কেন তিনি নেবেন। তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, রবীন্দ্রভারতীতে যা ঘটেছে, তা নিন্দনীয়। আমাদের সরকার এই সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। যাঁরা এসবের সঙ্গে যু্ক্ত, তাঁদেরকে রেয়াত করা হবে না। তদন্ত কমিটি গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সেই মর্মে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে তিনি জানান, ওইদিনকার অনুষ্ঠানের সমস্ত ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। যাঁরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সমাজে বিষ মিশিয়ে দি্চ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাইবার ক্রাইম পুলিশ স্টেশনকেও এই বিষয়ে অ্যালার্ট থাকতে বলা হয়েছে। এই ধরনের ঘটনাকে যারা ভাইরাল করছে, তারাও কম দোষী নয়।
বৃহস্পতিবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে বসন্তোৎসব সেলিব্রেশনের বেশ কিছু বিতর্কিত ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তার নৈতিক দায় স্বীকার করে ইস্তফা দেন উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী। তিনি দাবি করেন, এই ঘটনার দায় স্বীকার করে ইস্তফাপত্র আচার্য ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন।
রবীন্দ্রভারতীয় বিটি রোড ক্যাম্পাসের বসন্তোৎসবে একদল তরুণ-তরুণীর উচ্ছৃঙ্খলতায় বিতর্ক তৈরি হল ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে। রঙিন বসন্তোৎবের আড়ালে কদর্য চেহারা বেরিয়ে আসে একদল ছাত্রছাত্রী বা তরুণ-তরুণীর। নেট দুনিয়ায় তাদের বিকৃত মানসিকতার ছবি মূহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
কিছুদিন আগে রোদ্দুর রায় রবীন্দ্রনাথের গান 'চাঁদ উঠেছিল গগনে' বিকৃত করে গেয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। এবার এই বিকৃত গান ব্যবহার করেই বিকারগ্রস্ত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাল রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল ছাত্রছাত্রী। এই ঘটনাকে সাংস্কৃতিক বিকার হিসেবে বর্ণনা করেছেন শিক্ষাবিদরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সদ্য ভাইরাল হওয়া এই ছবিতে দেখা গিয়েছে- চারজন তরুণী পিছনে ফিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের পঠে আবির দিয়ে লেখা বিকৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের লাইন। যে বিকৃত সঙ্গীত ভাইরাল করেছিলেন রোদ্দুর রায় নামে জনৈক এ ব্যক্তি। আর ওই তরুণীর দিকে পিছন ফিরে বেস রয়েছেন তিন যুবক। তাদের বুকে লেখা অশ্লীল গালিগালাজ।