সিপিএম থেকে লোক যাচ্ছে বিজেপিতে! শুভেন্দুর নাম না করে বার্তা, নতুন স্লোগান পার্থর মুখে
সিপিএম থেকে লোক যাচ্ছে বিজেপিতে! শুভেন্দুর নাম না করে বার্তা, নতুন স্লোগান পার্থর মুখে
যে কায়দায় বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল তৃণমূল, সেইভাবেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। এদিন বেহালার কর্মিসভায় এমনটাই মন্তব্য করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (partha chatterjee)। একই সঙ্গে তিনি বলেন, এক ইঞ্চি জমিও কাউকে ছেড়ে দেওয়া হবে না।
মমতাকে সামনে রেখেই লড়াই
এদিন বেহালার কর্মিসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে। তিনি বলেন, পতাকাকে রেখে, উন্নয়নের বার্তা দিয়ে মমতাকে সামনে রেখে, জনতার মমতা, লিখে দেবে মানুষের ক্ষমতা। মানুষের ক্ষমতার জন্যই তাদের লড়াই করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন বস্তির পাশাপাশি, বহুতলেও দলের কর্মীদের যেতে হবে। তিনি লক্ষ্যে অবিচল থাকার কথা বলে, নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর প্যারাসুটে নামার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন।
লড়াই করতে হবে আগেই মতো
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যে কায়দায় সিপিএম তথা বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল তৃণমূল সেই কায়দাতেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তিনি বলেন, যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই শুনছেন, এই লোকটি আগে সিপিএম ছিল। এখন গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। নতুন নতুন স্লোগান তোলা হচ্ছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এক ইঞ্চি জমিও কাউকে ছাড়া হবে না। এব্যাপারে দিন কয়েক আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেওয়া হবে। তৃণমূলের বর্তমান শক্তি নিয়েই এগোতে হবে বলে জানান পার্থ। একদিকে একতা, অন্যদিকে উন্নয়ন, এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, সবাই খামচাতে চায়, চিমটি কাটতে চায়। কিন্তু দলের কর্মীদের আদর্শকে সামনে রেখে এগোতে হবে।
১১ থেকে শুরু বঙ্গধ্বনি যাত্রা
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন ১১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বঙ্গধ্বনি যাত্রা। তারপর তা ছড়িয়ে দেওয়া হবে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। মানুষের কাছে পৌঁছে সরকারের স্কোর কার্ড তুলে ধরতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল সরকার মানুষের সরকার। মানুষের জন্য কাজ করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই সরকার ঠাণ্ডা ঘরে বসে থাকে না। এই সরকার দুয়ারে গিয়ে বলে, তোমার কী চাহিদা বল, আমরা চেষ্টা করে দেখছি।
সবই মমতার চেষ্টায়
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, মেট্রো হচ্ছে মমতার চেষ্টায়, মাঝেরহাট ব্রিজ মমতার চেষ্টা, বেহালা কলকাতা পুলিশের মধ্যে এসেছে মমতার চেষ্টায়। বেহালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসও হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেষ্টায়। পার্ক, রাস্তা থেকে পুর পরিষেবা, বেহালায় সরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল সবই হয়েছে এই সরকারের আমলে। কিন্তু মানুষের কাছে সব তথ্য পৌঁছয় না বলে অনুযোগ করেন তিনি।
তৃণমূলের 'ভবিষ্যৎরা’ই বিদ্রোহীর তালিকায়! একুশে বুমেরাং কি তবে সময়ের অপেক্ষা