ব্যবসায়ী খুনে কুরুক্ষেত্র ঢোলাহাট, জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ১, ধৃত ৪৯
কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর : ব্যবসায়ী খুনে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে রবিবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট। সোমবারও থমথমে এলাকা। খণ্ডযুদ্ধের সময় পুলিশের গুলিতে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। আরও দু'জন গুলিবিদ্ধ হন। থানার সামনে তাণ্ডব চালানো, গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার সকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৪৯ জনকে।
আজই ধৃতদের আদালতে তোলা হবে। গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে কমব্যাট ফোর্স ও আধা সেনা। জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।
একদিন নিখোঁজ থাকার পর স্থানীয় এক পুকুর থেকে উদ্ধার হয় রউফ নামে ওই ব্যবসায়ীর দেহ। টাকা লুঠের উদ্দেশ্যেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে ব্যবসায়ীর পরিবারের দাবি। ঘটনায় কেউ গ্রেফতার না হওয়ায় রবিবার থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিজন ও প্রতিবেশীরা।

পুলিশের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়ে তারা। এরপরই শুরু হয় তাণ্ডব। থানার সামনে জনতা-পুলিশ কুরুক্ষেত্র বাধে। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় ঢোলাহাট থানায়। থানার গ্রিল পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়। বেধড়ক মারধর করা হয় পুলিশ কর্মীদেরও। ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। থানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাইকেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পুলিশ পাল্টা লাঠিচার্জ করে।
জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলিও চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দু'জন। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার বক্তব্য, পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে কি না, তদন্ত করে দেখা হবে। ঘটনায় সিপিএম-বিজেপির উস্কানি রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তা অস্বীকার করেছে সিপিএম। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ ১৪ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে। আহতদের ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে কলকাতায় আনা হয় আহতদের। ঘটনার পর এলাকাজুড়ে ধরপাকড় শুরু করেছে পুলিশ। তল্লাশি অভিযান চলছে সোমবারও।