জোর করে দলবদলে এবার অপহরণের অভিযোগ! অনাস্থা ভোটের আগে বনগাঁয় চাঞ্চল্য
নগাঁ পুরসভায় দলবদলের চর্চার মধ্যেই এবার কাউন্সিলর অপহরণের অভিযোগ কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেই।
বনগাঁ পুরসভায় দলবদলের চর্চার মধ্যেই এবার কাউন্সিলর অপহরণের অভিযোগ কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধেই। এক্ষেত্রে তৃণমূলের এক কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। মঙ্গলবার অনাস্থা ভোটের আগে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
কাউন্সিলর অপহরণের অভিযোগ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শম্পা মহান্তের অভিযোগ, ২৯ জুন রাতে বাড়িতে গিয়েছিলেন ২ ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর হিমাদ্রি মণ্ডল এবং কার্তিক মণ্ডল। এরপর তাঁকে একটি গাড়িতে তুলে যশোর রোড দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই গাড়িতে আরও কাউন্সিলর ছিলেন। সেই সময় তিনি জিজ্ঞাসা করেন, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেই সময় তাঁকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখানো হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তী সময়ে একটি বাড়িতেও তাঁকে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শম্পা মহান্ত।
আদালতে গোপন জবানবন্দি
ওই কাউন্সিলরের আরও অভিযোগ পরবর্তী সময়ে তাঁর স্বামী যোগাযোগ করলে ২০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। দাবি ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরও তাঁকে ছাড়া হয়নি। অভিযোগ, স্বামীকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছিল পুলিশকে জানালে খুন করা হবে। তারপর থেকে তাঁকে গোপন জায়গায় আটকে রাখা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর ১১ জুলাই কোনও রকমে পালিয়ে যান। বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। এসম্পর্কে তিনি আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন।
তৃণমূলের অভিযোগ জোর করে এই কাউন্সিলরকে দিল্লিতেও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
বনগাঁর পুরসভায় বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থান
বনগাঁ পুরসভায় আসন সংখ্যা ২৪। ২২ জন ছিলেন তৃণমূলের। ১ জন করে কংগ্রেস ও সিপিএম-এর। দিল্লি গিয়ে ১২ জন বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ফলে তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা ১০-এ নেমে গিয়েছিল। এখন শম্পা মহান্ত তৃণমূলে ফিরে যাওয়ায় বিজেপি ও তৃণমূলের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১১ করে।