সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই ফের একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণা নবান্নের! কোন ক্ষেত্রে মিলবে সুবিধা
কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। পজিটিভিটি রেটে দেশের মধ্যে কার্যত প্রথম স্থানে বাংলা। এই অবস্থায় আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কড়া বিধি নিষেধের ঘোষণা করে নবান্ন। যদিও শর্তসাপেক্ষে একাধিক ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। পজিটিভিটি রেটে দেশের মধ্যে কার্যত প্রথম স্থানে বাংলা। এই অবস্থায় আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কড়া বিধি নিষেধের ঘোষণা করে নবান্ন। যদিও শর্তসাপেক্ষে একাধিক ছাড় দেওয়া হয়েছে।
বিয়ে বাড়ি এবঙ্গ মেলাতে একাধিক ছাড় দেওয়া হয়েছে। আর এরপরেও একাধিক ছাড়ের ঘোষণা নবান্নের তরফে। আর এই ঘোষণায় বিপদের আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। একাংশের মতে, এই সময়টা খুবই কঠিন। ফলে এই সময়ে কোভিড বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখানো মানে বিপদকে ডেকে আনা। তবে এই ঘোষণায় স্বস্তিতে জিম মালিকরা।
জিমে ছাড় দিল সরকার
মঙ্গলবার ১৮ তারিখ থেকেই ফের একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত কয়েকদিন ধরেই জিম খোলা নিয়ে বিক্ষোভ চলছিল শহরে। আর এরপরেই ছাড়ের ঘোষণা। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া থাকলে জিম যাওয়াতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে জিম খোলা গেলেও ৫০ শতাংশকে নিয়ে চালাতে হবে। আর ত্রাত ৯টার মধ্যে তা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে জিমের মধ্যে সোশ্যাল ডিসটেন্স এবং মাস্ক পড়তে বলা হয়েছে।
শুটিংয়ে ছাড়
শুটিংয়ে ছাড় দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে আউটডোর শুটিংয়ে বন্ধ ছিল। কিন্তু নয়া নির্দেশিকতে সিনেমা এবং টেলিভিশন শুটিংয়ে আউটডোরে ছাড় দেওয়া হয়েছে। সমস্ত করোনা বিধি মেনে এবং সোশ্যাল ডিসটেন্স মেনে এই শুটিং করা যাবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ থাকার কথাও বলা হয়েছে।
যাত্রাতে বড় ছাড়
করোনা পরিস্থিতিতে যে কোনও জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু এদিন নয়া নির্দেশিকা শর্তসাপেক্ষে যাত্রাপালাতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। আউটডোরে ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে করা যাবে যাত্রা। তবে তা শেষ করতে হবে রাত ৯টার মধ্যে। কোনও ভাবে ইনডোরে শুটিং করা হলে তা কখনও ২০০ এর বেশি লোক না থাকে সে বিষয়ে নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যাত্রাস্থলে স্যাটেটাইজার-মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে।
বিয়ে এবং মেলায় ছাড়
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি বিচার করে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বিধি নিষেধ। স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও বিয়ে বাড়িতে ২০০ জনের উপস্থিতিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, মেলাতেও ছাড় দেওয়া হয়েছে। খোলা যাওয়াতে মেলা করাতে কোনও সমস্যা নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। আর তাতে কার্যত বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যেখানে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয় সেখানে মেলায় ছাড়পয়ত্র দেওয়ার ঘোষণাতে আশঙ্কাই দেখছেন চিকিৎসকমহলের একাংশ।