হাসপাতালের মর্গের বাইরে ছড়িয়ে ১৫ টি সদ্যোজাতের দেহ, চাঞ্চল্য বাঁকুড়ায়
মর্গ চত্বরে ছড়িয়ে রয়েছে সদ্যোজাতের মৃতদেহ। চূড়ান্ত অমানবিকতার এই নিদর্শন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
বাঁকুড়া, ১০ নভেম্বর : মর্গ চত্বরে ছড়িয়ে রয়েছে সদ্যোজাতের মৃতদেহ। চূড়ান্ত অমানবিকতার এই নিদর্শন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এক-আধটা নয়, ১৫টি সদ্যোজাতের মৃতদেহ ওইভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। কোনও হুঁশ নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কর্মীদের গাফিলতি বলেই দায় এড়াতে চাইছে হাসপাতাল।
বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৃথক মর্গ রয়েছে সদ্যোজাতের মৃতদেহ সংরক্ষণ করে রাখার জন্য। কিন্তু তা সত্ত্বেও এমন নির্মম ঘটনা কেন? সদ্যোজাতের মৃত্যু হলে মৃতদেহগুলি যে মর্গে রাখা হয়, তার বাইরে কেন ছড়িয়ে রাখা হয়েছে মৃতদেহগুলি? সদুত্তর মেলেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই, সদ্যোজাতের মৃতদেহ মর্গ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে রয়েছেন এক কর্মী। তাঁর এবং মর্গ রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের গাফিলতিতেই এই সাঙ্ঘাতিক ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ডেকে পাঠান হাসপাতাল সুপার। দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্বে থাকা কর্মী জানান, বুধবার মৃতদেহগুলি হাসপাতাল থেকে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মর্গের দায়িত্বে থাকা কর্মী মর্গের চাবি খুলতে অস্বীকার করে। তাই বাধ্য হয়েই দেহগুলি বাইরে রাখতে হয়েছে। এরপর মৃতদেহগুলি কুকুরে টেনে নিয়ে যেতে পারে। হয়তো নিয়েও গিয়েছে। তার জবাব কে দেবে?
এই অমনবিক ঘটনার জন্য দোষীদের শাস্তির দাবি তোলা হয়েছে। দায় স্বীকার করে হাসপাতাল সুপার তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন।এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মর্গে গিয়ে মৃতদেহগুলি নির্দিষ্টস্থানে রাখা হয়। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। সুপারকে শো-কজ করেছেন সিএমওএইচ।