প্রথমদিন থেকে মামলাতে থাকা স্বত্বেও কেন হলফনামা জমা করেননি? রাজ্যকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
প্রথমদিন থেকে মামলাতে থাকা স্বত্বেও কেন হলফনামা জমা করেননি? রাজ্যকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটক হলফানামা জমা দেওয়ার আবেদন জানায়। আজ মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলা
প্রথমদিন থেকে মামলাতে থাকা স্বত্বেও কেন হলফনামা জমা করেননি? রাজ্যকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মলয় ঘটক হলফানামা জমা দেওয়ার আবেদন জানায়। আজ মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে।
সেই শুনানিতেই কার্যত এহেন প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নির্দেশ দিতে পারে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আদালত কি রায় দেয় সেদিকেই নজর সবার।
আজ এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। এদিন শুনানিতে একাধিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি। শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ''আপনারা কেন হলফনামা জমা দেননি? তার কারণ কী? আপনারা তো প্রথম দিন থেকে ছিলেন।''
আদালতের প্রশ্নে পালটা অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, আইন মোতাবেক হলফনামা জমা দেওয়ার জন্যে আমরা চার সপ্তাহ সময় পাব। আমরা ৭ই জুন হলফনামা পেশ করার আবেদন করেছিলাম। তাই আমাদের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যায়নি। সত্যিটা সামনে আনা দরকার। তার জন্য হলফনামা জমা নেওয়াও দরকার। রাজ্য হিসাবে এটা আমাদের দায়িত্ব আদালতকে জানানো।''
পালটা সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ''১৭ মে থেকেই মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পরিকল্পিত ভাবেই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হলফনামা জমা দেননি মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রী।''
শুনানিতে ফের আদালতের প্রশ্ন, মনে করুন যে চার সপ্তাহের মধ্যে শুনানি শেষ হয়ে গেলো। সেক্ষেত্রে কি শুনানি শেষ হওয়ার পরেও হলফনামা গ্রহণ করতে হবে? ফের অ্যাডভোকেট জেনারেক কিশোর দত্তকে প্রশ্ন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের।
তবে এদিন হলফনামা কেন জমা দেওয়া প্রয়োজন সে বিষয়টি আদালতের কাছে ব্যাখা করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। তিনি বলেন, চার হেভিওয়েটকে রাজ্য সাহায্য করছে বলে যে অভিযোগ সিবিআই করছে তারও বিরোধিতা আমরা করছি। সেই কারণেও আমাদের হলফনামা দেওয়া প্রয়োজন।
পাশাপাশি নিজের যুক্তির স্বপক্ষে বেশ কিছু নির্দেশনামা পেশ করেন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। শুধু তাই নয়, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের বিষয়। নিরাপত্তার বিষয়টিও রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। তাই আমাদের হলফনামা জমা দেওয়া প্রয়োজন। শুনানিতে মন্তব্য অ্যাডভোকেট জেনারেলের। দীর্ঘক্ষণ এদিন বৈঠক চলে।
সবপক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় বলেন, ''রাজ্য যদি সঙ্গে সঙ্গে হলফনামা জমা দিত, তবে তা স্বতঃস্ফূর্ত হত। দেরি হওয়ার কারণে এটি ভাবনা চিন্তার পর্যায়ে রাখতে পারি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা একে রেকর্ড হিসাবে নিয়ে আইনিভাবে পর্যালোচনা করব কি না। সেই বিষয় পরে দেখা যেতে পারে।''