হঠাৎ তৃণমূলের পাশে মুকুল! অযথা সরকারের বিরোধিতায় সায় নেই বিজেপি নেতার
অযথা সরকারের বিরোধিতায় সায় নেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। মু্র্শিদাবাদের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারের বিরোধিতা ও সমালোচনা না করে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ও দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোই আগে দরকার বলে মনে করেন তিনি।
অযথা সরকারের বিরোধিতায় সায় নেই বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের। মু্র্শিদাবাদের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে সরকারের বিরোধিতা ও সমালোচনা না করে দুর্ঘটনাগ্রস্থ ও দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোই আগে দরকার বলে মনে করেন তিনি। তিনি এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা নিয়ে কোনও রাজনীতি হোক, চান না। সোমবার নিজের এলাকায় উপনির্বাচনের ব্যস্ততার ফাঁকেই মুকুল রায় জানিয়ে দিলেন, তাঁর মতে দুর্ঘটনা সামাল দেওয়াই দরকার সবার আগে।
[আরও পড়ুন:ভোট আসতেই মানুষ কিনছেন মুখ্যমন্ত্রী! বিস্ফোরক অভিযোগ কংগ্রেস বিধায়কের]
উল্লেখ্য, এদিন সকালে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে ব্রিজের রেলিং ভেঙে যাত্রী বোঝাই বাস নদীতে পড়ে যায়। এই ঘটনায় দীর্ঘ লড়াইয়ের পর নদী গর্ভ থেকে বাস তুলে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় বহু মানুষের সলিল সমাধি ঘটেছে। তাঁদের দেহ একে একে বের করে আনা হয় বাস থেকে। এই ঘটনা যেমন বেদনাদায়ক, তেমনই মর্মান্তিক ও ভয়াবহও।
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কর্মসূচি কাটছাঁট করে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করেন উদ্ধার কাজের। সৌমিক হোসেন-সহ জেলা নেতৃত্বকে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। সঙ্গে ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীও। মুখ্যমন্ত্রী এদিন উদ্ধারকাজ নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তোলেন। কারণ দুর্ঘটনার পরই উদ্ধারকাজে নামতে দেরির অভিযোগ তুলে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায় এলাকায়। আক্রান্ত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপারও।
[আরও পড়ুন:৫ লক্ষ পরিবারকে 'আশ্রয়' দিলেন মমতা, এবার থেকে দু'বারেই মিলবে অনুদানের টাকা]
এরপর মুকুল রায় এক প্রশ্নের উত্তরে ব্যাখ্যা করেন, এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় রাজনীতি করা উচিত নয়। তিনি বলেন, 'সবাই জানে আমরা যাঁরা বিজেপি করি, তাঁরা সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য তুলে ধরি। কিন্তু এদিন যে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে অযথা রাজনীতি করতে চাই না। তা সমীচিনও নয়।'
মুকুলবাবুর মতে, 'সবার আগে এই ঘটনাকে সামাল দেওয়া জরুরি। প্রয়োজনে সরকারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সবসময় বিরোধিতা করার রাজনীতি তাঁরা করতে চান না। দুর্ঘটনা ঘটলে সেটাকে আগে সামাল দিতে হয়। তারপর অভিযোগ। মানুষ দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে, আগে সেটাকে সামাল দেওয়াই উচিত বলে আমরা মনে করি।'
[আরও পড়ুন:উৎসবের মেজাজে শুরু, বেলা বাড়তেই সিপিএমের কায়দা উলুবেড়িয়া-নোয়াপাড়া ভোটে]