সৌজন্য সাক্ষাতে তৃণমূলে ভবনে যাওয়া! বিজেপিতেই আছি বলে ফের জানালেন মুকুল
তৃণমূল ভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলেন মুকুল রায়! বিজেপিতেই আছেন উনি। ফের একবার এমনই দাবি করলেন মুকুল রায়ের আইনজীবী। সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের বিধায়কের বিরুদ্ধে দায়ের দলত্যাগ বিরোধী মামলায় বিধানসভার অধ্যক্ষের নির্দেশ খারিজ কর
তৃণমূল ভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছিলেন মুকুল রায়! বিজেপিতেই আছেন উনি। ফের একবার এমনই দাবি করলেন মুকুল রায়ের আইনজীবী। সম্প্রতি কৃষ্ণনগরের বিধায়কের বিরুদ্ধে দায়ের দলত্যাগ বিরোধী মামলায় বিধানসভার অধ্যক্ষের নির্দেশ খারিজ করে আদালত।
শুধু তাই নয়, সিদ্ধান্ত ফের একবার পুনর্বিবেচনার জন্য অধ্যক্ষের কাছেই ফেরত পাঠান প্রধান বিচারপতি। একই সঙ্গে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে।
সেই মতো আজ বৃহস্পতিবার মুকুল রায় মামলা শুনানির জন্যে ডাকেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে দু'পক্ষ অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের আইনজীবীরা তাঁদের বক্তব্য রাখেন। আর সেই শুনানিতে আইনজীবী মারফত মুকুল রায় জানিয়েছেন, তিনি বিজেপিতেই আছেন৷ দলত্যাগ করেননি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী যে মামলা করা হয়েছে তা যুক্তিহীন বলেও দাবি কৃষ্ণনগরের বিধায়কের।
তবে তাঁর তৃণমূল ভবনে যাওয়া প্রসঙ্গে আইনজীবী জানান, উনি দলের পুরানো কর্মী। ফলে পুরানো কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেই তাঁর এই সফর বলে দাবি। শুধু তাই নয়, এদিন শুনানিতে মুকুলের আইনজীবী আরও বলেন, সেই সময় সদ্য তাঁর স্ত্রীয়ের মৃত্যু হয়। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন। শারীরিক অবস্থাও ভালো ছিল না।
আর সেই কারণে পুরানো কর্মীদের সঙ্গে মুকুল রায় দেখা করতে তৃণমূল ভবনে গিয়েছেন বলে দাবি মুকুল রায়ের আইনজীবীর। তবে শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী এহেন দাবি ভুয়ো বলে দাবি করেন। একই সঙ্গে মুকুল রায়ের তৃণমূলের যোগদানের সমস্ত তথ্য অধ্যক্ষের কাছে তুলে দেন শুভেন্দু'র আইনজীবীরা।
জানা গিয়েছে, এদিন মুকুল রায় দলত্যাগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে আগামী ছয় তারিখ মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে'র আইনজীবীদের কাছ থেকে এই বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইতে পারেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর কলকাতা হাইকোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী ১১ মে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিধানসভার স্পিকার জানাতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বিধানসভা নির্বাচনের পরেই তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। আর এরপরেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে কেন মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এমনকি মামলাও হয়।
আর তাতে গত কয়েকমাস আগে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, মুকুল রায় দলবদল করেননি। এই বিষয়টিকে ফের একবার ভেবে দেখার কথা বলেন কলকাতা হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ীই আজ বৃহস্পতিবার শুনানি হয়।