প্রেমিকের সঙ্গে শরীরী সম্পর্কে বাধা, তাই নিজের হাতে সন্তানকে খুন করল মা
সন্তানদের প্রতি জন্মদাত্রী মায়েদের এই নির্মমতায় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে সমাজকে। বর্তমানে সামাজিক অবক্ষয়ের এই একটার পর একটা ঘটনায় উদ্বেগে সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরাও।
পুরুলিয়ায় এক মায়ের নৃশংসতায় এখন লজ্জায় মুখ লুকাচ্ছে সমাজ। পুরুলিয়ার পর নদিয়াও একই ধরনের নির্মমতার সাক্ষী। নদিয়ার হাসখালিতে এক নোংরা মায়ের নির্মমতার শিকার হল কোলের শিশু সন্তান। প্রেমিকের পছন্দ নয়, তাই দেড় বছরের শিশুপুত্রকে গলা টিপে খুন করল মা। ফের এক 'কুমাতা'র নির্মমতা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠল গোটা বাংলায়।
নদিয়ার হাসখালির গাজনা গ্রামের ঘটনা। নিজের সন্তানকে গলা টিপে হত্যা করার অভিযোগে ঝর্না বিশ্বাস নামে এক মহিলাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু গ্রেফতার বা শাস্তিই তো সব নয়। সন্তানদের প্রতি জন্মদাত্রী মায়েদের এই নির্মমতায় প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে সমাজকে। বর্তমানে সামাজিক অবক্ষয়ের এই একটার পর একটা ঘটনায় উদ্বেগে সমাজকর্মী ও মানবাধিকারকর্মীরাও।
পুলিশ জানিয়েছে, গাজনার দুর্লভপুরের ঝর্ণা বিশ্বাস স্বামী রবি রাজোয়ারের মৃত্যুর পর দেড় বছরের সন্তানকে নিয়ে থাকত৷ সম্প্রতি ভীষ্ম সর্দার নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপরই বিপত্তি। ঝর্নার ছেলেকে একেবারেই পছন্দ করত না ভীষ্ম। তাদের সম্পর্কের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল ওই একরত্তি শিশুটিই। অন্তরঙ্গ মুহূর্তেই চিৎকার করে উঠত সে।
তাই দেড় বছরের শিশুর সেই চিৎকার গলা টিপে চিরদিনের মতো থামিয়ে দিল নৃশংস মা। শুধু প্রেমিকের পছন্দ নয় বলে নিজের কোলের শিশুকে খুন করতে এক মুহূর্তের জন্যও হাত কাঁপল না মায়ের। এদিন দীর্ঘক্ষণ ঝর্নার ছেলেকে দেখতে না পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের।
তারপরই পাড়ার লোকের জিজ্ঞাসাবাদে ছেলেকে খুন করার কথা স্বীকার করে ঝর্না। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় খুনি মাকে। সম্পর্কের জটিলতায় মায়ের মমতাকেও এখন প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে মা নামের এই কলঙ্কিনীরা, এমনই অভিমত প্রতিবেশী থেকে শুরু করে সমাজকর্মীদের।