শীঘ্রই বকেয়া ডিএ নিয়ে বড় ঘোষণা! অর্থদফতরের 'নজিরবিহীন' বৈঠক ঘিরে জল্পনা
আর্থিক উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকল অর্থ দফতর। রাজ্যের সমস্ত দফতরের উপদেষ্টাদের নিয়ে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। আর তা আগামী শনিবার হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সল্টলেকের শুভান্ন ভবনের কনফারেন্স হলে অর্থ দফতরের তরফে এই ব
আর্থিক উপদেষ্টাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকল অর্থ দফতর। রাজ্যের সমস্ত দফতরের উপদেষ্টাদের নিয়ে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে। আর তা আগামী শনিবার হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সল্টলেকের শুভান্ন ভবনের কনফারেন্স হলে অর্থ দফতরের তরফে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।
ইতিমধ্যে রাজ্যের সমস্ত দফতরের আর্থিক উপদেষ্টাদের কাছে এই বৈঠক সংক্রান্ত চিঠি পৌঁছে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ঠিক কোন কোন বিষয়গুলি নিয়ে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তা অবশ্য জানা যায়নি । এমনকি প্রশাসনের তরফেও এই বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।
চাপ বাড়াতে চলেছে রাজ্যের উপর
তবে গত কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করে বলেন, অর্থনৈতিক ভাবে কেন্দ্র চাপ বাড়াতে চলেছে রাজ্যের উপর। কার্যত ১০০ দিনের প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করছেন প্রশাসনিক প্রধান। এছাড়াও কেন্দ্রের তরফে একাধিক প্রকল্পের টাকাও দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ। এই অবস্থায় সরকারের উপর চাপ বাড়ছে। ইতিমধ্যে একাধিক দফতর বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্প চালাচ্ছে। সেখানে আর্থিক বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অবস্থায় কোন দফতর কত কি বরাদ্দ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চায় অর্থ দফতর। সেই কারণেই এই বৈঠক বলে জানা যাচ্ছে।
ডিএ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে
এছাড়াও ডিএ নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বকেয়া ডিএ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের তোপের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কেন ডিএ দেওয়া হচ্ছে না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয়, ডিএ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট চূড়ান্ত সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছে। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দফতরগুলির আর্থিক উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনা চাইছে অর্থ দফতর। অবশ্য এখনও ডিএ নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্ট কিংবা অন্যান্য আদালতে যায়নি রাজ্য সরকার। ফলে মনে করা হচ্ছে সরকার বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই ডিএ নিয়ে বড় কিছু ঘোষণা করতে পারে।
ডিএ নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করা হতে পারে
ফলে এই বৈঠক যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। তিবে নজিরবিহীন এই বৈঠক ঘিরেই নতুন করে আশার আলো তৈরি হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বকেয়া ডিএ মেটাতে গেলে বড়সড় ধাক্কা রাজ্যের আর্থিক কোষাগারে আসবে। ফলে চাপ বাড়বে অর্থ দফতরের উপরে। এই অবস্থায় সমস্ত দফতরের আর্থিক বরাদ্দ নিয়ে একটা হিসাব অর্থ দফতর করে নিতে চাইছে। কোথাও যদি মনে হয় সেখানে অর্থ বরাদ্দ করে সম্ভবত পরিস্থিতি সামাল দিতে চাইছে অর্থ দফতর। আর এরপরেই হয়তো ডিএ নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করা হতে পারে। তথ্য বলছে, বর্ধিত হারে ডিএ দিতে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা সরকারের অতিরিক্ত খরচ হবে।