মমতা 'সততার প্রতীক' নন, 'সারদার প্রতীক', তোপ সিপিএমের
শনিবার কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, সারদা মিডিয়া থেকে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা যদি সবচেয়ে বেশি কেউ পেয়ে থাকেন, তিনি হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসল সত্য জানতে মুখ্যমন্ত্রী, সুদীপ্ত সেন ও তাঁকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক বলেও দাবি করেছিলেন তিনি। এর জেরে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠেছে।
কুণাল ঘোষের মন্তব্যের পর মুখ খোলে সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সততার প্রতীক নন, সারদার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। কুণাল ঘোষ যা বলেছেন, এর চেয়ে সহজ প্রস্তাব কিছু হয় না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর উত্তরবঙ্গের ডেলোতে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে গোপন বৈঠক করেছিলেন। সেখানে ছিলেন কুণাল ঘোষও। তা হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সারদা গোষ্ঠীর যোগাযোগ ছিল, এটা তো ঘটনা।"
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, "কুণালবাবু মুখ্যমন্ত্রীর ডান হাত ছিলেন। তাই দু'জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হোক। তা হলে অনেক কথাই সামনে আসবে।" বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেছেন, এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা উচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দু'জনেই কুণালবাবুর প্রস্তাবকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন। পার্থবাবুর মতে, শাস্তি এড়ানো যাবে না বুঝেই এখন কুণাল ঘোষ এ সব বলছেন। ফিরহাদ হাকিম বলেন, জেলে বসে কে কী বলল, সেটা বিবেচ্য নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনে বাংলার মানুষ আছেন। এ সব বলা মানে তাঁকে অপমান করা।