মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ কেন্দ্রের! ঘটনায় স্তম্ভিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
অস্বস্তি বাড়তে চলেছে মোদী সরকারের। মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার অভিযোগ। সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এহেন নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ কেন্দ্রের তরফে। আর তা সামনে আসার পরেই কার্যত হ
অস্বস্তি বাড়তে চলেছে মোদী সরকারের। মিশনারিজ অব চ্যারিটিজের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়ার অভিযোগ। সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এহেন নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ কেন্দ্রের তরফে। আর তা সামনে আসার পরেই কার্যত হুলস্থুল কাণ্ড। এমনকি শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজা।
এমনকি এই ঘটনায় স্তম্ভিত খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইতিমধ্যে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়াতে বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
যদিও কেন অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেন্দ্রের তরফেও এই বিষয়ে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। এমনকি বিষয়টি মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ শুনলেও এখনও পর্যন্ত তাঁরা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ফলে খবরের সত্যতা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা রয়েছে।
কিন্তু বড়দিনের পরেই কেন্দ্রের এই নির্দেশের ফলে চরম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তবে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, ধর্মান্তরিত করার এক অভিযোগ উঠেছে সংস্থার বিরুদ্ধে। তা নিয়ে এফআইআরও হয়েছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত কিনা তা স্পষ্ট নয়।
মাদার টেরিজা হাত ধরে তৈরি হয় মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ। দুঃস্থ, দরিদ্র মানুষের সেবায় কাজ করে এই সংস্থা। মানবতাই ধর্ম। আর মানুষকের সেবা করার মধ্যে দিয়েই পাওয়া যায় ঈশ্বর। এই বিশ্বাসকে পাথেও করে নিরন্তর কাজ করে চলে মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ। একেবারে বিনামূল্যে মানুষকে চিকিৎসা থেকে শুরু করে শিশুদের পড়াশুনা, খাওয়া দাওয়া সবটাই হয়। আর সেখানে দাঁড়িয়ে এই নির্দেশ ঘিরেই তৈরি হয়েছে যাবতীয় বিতর্ক।
জানা যাচ্ছে, সংস্থার সমস্ত অ্যাকাউন্ট আপাতত ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। শুধু তাই নয়। সমস্ত অ্যাকাউন্টে যাবতীয় লেনদেনও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে সমস্যার মধ্যে পড়েছে মাদার টেরিজার তৈরি এই সংগঠনটি। প্রায় ২২ হাজার রোগীর চিকিৎসার ভার এই সংস্থার উপরে।
শুধু তাই নয়, অনেকেই এই চ্যারিটিজের অধিনে কাজ করে। ফলে আটকে যেতে পারে তাঁদের বেতন। এমনকি বিনামূল্যে ওষুধ ও খাবার সরবরাহে বিঘ্ন হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই খবর সামনে আসার পরেই টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নির্দেশে তিনি স্তম্ভিত বলে দাবি করেছেন। সমস্ত কর্মচারী এবং রোগিদের কীভাবে চলবে তা নিয়েও ওই টুইটের মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মানবিকতার নজির রাখার আবেদন করা হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।