আদিবাসী মন পাওয়ার লড়াই তৃণমূল-বিজেপির! মোদী সরকারকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রী মমতার
আদিবাসী মন পাওয়ার লড়াই তৃণমূল-বিজেপির! মোদী সরকারকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রী মমতার
কেন্দ্রীয় সরকার ফেডারেল কাঠামো বুলডোজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ফের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন। উপজাতি কল্যাণ প্রকল্পের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সহায়তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। তিনি নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে উপজাতি উন্নয়ন নিয়ে এক্তিয়ার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন।
সংখ্যালঘুদের যত্ন নিলে আদিবাসীদেরও পারব : মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আমি যদি সংখ্যালঘুদের যত্ন নিতে পারি, তবে আমি আমাদের আদিবাসী ভাই-বোনদেরও যত্ন নিতে পারব। তাঁদেরকে কেন্দ্রের সামনে মাথা নত করতে হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি এক বিবৃতিতে মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছেন।
রাজ্যের আদিবাসী শিশুদের জন্য 'একলব্য' স্কুল
মমতা বলেন, রাজ্য আগে থেকেই উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য যত্নবান। রাজ্যের আদিবাসী শিশুদের জন্য 'একলব্য' স্কুল রয়েছে। রাজ্যের তরফে অভিযোগ, সেই স্কুলে স্কলারশিপ অনুদান এবং আদিবাসী বিদ্যালয়ে অর্থ সাহায্য দিয়ে উপজাতি শিশুদের ভবিষ্যতে বাধার সৃষ্টি করা হচ্ছে।
কেন্দ্র ফেডারেল স্ট্রাকচার ভেঙে নাক গলাচ্ছে : মমতা
মমতা বলেন, "আমরা আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য একলব্য বিদ্যালয় স্থাপন করেছি, আমরা তাদের বৃত্তি দিচ্ছি। আমাদের সহায়তা সত্ত্বেও কেন্দ্র সেখানে নাক গলাচ্ছে। আমাদের তালিকা প্রস্তুত করতে বলছে, অন্যথায় তারা আমাদের তহবিল দেবে না। তারা বলছে একলব্য বিদ্যালয়গুলি কেন্দ্রীয় বোর্ডের অধীনে থাকতে হবে।
আদিবাসী মন পাওয়ার লড়াই তৃণমূল-বিজেপির
কেন্দ্র জোর করে এর মধ্যে ঢুকতে চাইছে। শুধু আদিবাসী মন পাওয়ার জন্য ফেডারেল পরিকাঠামোকে ভেঙে তছনছ করে দিচ্ছে। আমরা তাদের চাপের কাছে নতি স্বীকার করব না। আমরা উপজাতি শিক্ষার্থীদের যত্ন নিই। সংখ্যালঘু বিষয়ক মাদ্রাসা বিভাগ যেভাবে চলছে, উপজাতি বিষয়েও সেইভাবেই চলবে রাজ্য।
উপজাতি ভোটের দিকে নজর রেখেই উন্নয়ন বার্তা
বর্তমানে রাজ্যে সাতটি একলব্য বিদ্যালয় রয়েছে। সাত জেলায় একটি করে স্কুল। আড়াই হাজার আবাসিক শিক্ষার্থী রয়েছে। বাংলা এই সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। তৃণমূল উপজাতি সম্প্রদায়ের জন্য এত ভাবার পরেও ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের বাংলার উপজাতীয় ভোট বিজেপিতে স্থানান্তরিত হয়েছিল।
তফশিলি সংরক্ষিত আসনের দুটিতেই বিজেপির জয়
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় উপজাতি সম্প্রদায়ের ভোট বিজেপিকে অপরিসীম সমর্থন দিয়েছে। তফশিলি সংরক্ষিত আসনের দুটিতেই বিজেপি জয়লাভ করেছে। একটি হ'ল উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ার এবং অন্যটি দক্ষিণবঙ্গের ঝাড়গ্রাম। এই ভোটের নিরিখে অন্তত ১৩টি কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়ে থাকছে তৃণমূলের থেকে।
৬ শতাংশ উপজাতি ভোটে নজর উভয়ের
২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে পশ্চিমবঙ্গে ৫২ লক্ষ উপজাতি জনগোষ্ঠী রয়েছে। সামগ্রিক ভোটারদের ৬ শতাংশ। জঙ্গলমহল একসময় বামেদের দুর্গ ছিল। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর- তিন জেলা ছাড়াও ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূমের কিছু অংশে রয়েছে উপজাতি সম্প্রদায়। মোট ১৬টি বিধানসভা আসন সংরক্ষিত রয়েছে তফশিলিদের জন্য। তার ফল বিজেপির পক্ষে ১৩-৩।
ভোটের অঙ্কে তীব্র হচ্ছে তৃণমূল বনাম বিজেপি লড়াই
বিজেপি চাইছে সেই ভোটকে ধরে রাখতে। আর তৃণমূল চাইছে সেই ভোট ফিরে পেতে। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রাধান্য পেতেই উপজাতি ভোট নিয়ে এত কাড়াকাড়ি শুরু হয়েছে। উপজাতিদের জন্য উন্নয়ন চিন্তার পিছনেও রয়েছে ভোটের অঙ্ক। এই অবস্থায় আরও একটা সমীকরণ তৈরি হচ্ছে, বিজেপি যদি মমতাকে সংখ্যালঘুপন্থী বলে আখ্যায়িত করতে চায়, তৃণমূল তাদের উপজাতিবিরোধী বলে অভিযুক্ত করবে।
সংসদে ১৯৬২ থেকে সবকিছুর আলোচনা! একই পরিবারে সদস্যরা কেন কংগ্রেস সভাপতি পদে, বিস্ফোরক অমিত