মিশন ২০২১-এ টার্গেট ৪৮ শতাংশ মহিলা ভোট, ‘দুর্গা-বাহিনী’ তৈরি করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
মিশন ২০২১-এ টার্গেট ৪৮ শতাংশ মহিলা ভোট, ‘দুর্গা-বাহিনী’ তৈরি করছেন মমতা
২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন। তাঁর টার্গেট এবার মহিলা ভোটার। সেই লক্ষ্যেই তিনি এবার 'দুর্গাবাহিনী' গড়ে তুলতে চাইছেন। আরও বেশি মহিলাতে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছেন। যুব-যোদ্ধার মতোই দলীয় সুপ্রিমো চাইছেন মহিলা-বাহিনী তৈরি করতে।
৪৮ শতাংশ মহিলা ভোটারদের মন জয়ের লক্ষ্যে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি ঘোষণা করেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্য পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগে নারী-পুরুষ সমানাধিকারের পক্ষে। তাঁর আর এক ঘোষণায় মোট ভোটারদের ৪৮ শতাংশের বেশি সংখ্যক মহিলা ভোটারদের মন জয় করার প্রত্যক্ষ প্রচেষ্টা ছিল।
৭০ হাজার বিজোড় বুথে ২০ জন মহিলা টার্গেট
তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, দলের মহিলা কর্মীরা রাজ্যের ৭০ হাজার বিজোড় বুথের প্রত্যেকটিতে পরিদর্শন করবেন এবং তাঁরা বুথের ২০ জন মহিলার সঙ্গে অন্তত কথা বলবেন। তাঁদের বোঝাবেন টিএমসির উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নিয়ে। তাঁদের সচেতন করার এই কর্মসূচির মাধ্যমেই তাঁরা মহিলাদের প্রভাবিত করতে চাইছেন।
সরকারি প্রকল্পের সুবিধা বোঝাবেন তৃণমূলকর্মীরা
রাজ্যে ক্ষমতালাভের পর থেকে মহিলাদের ক্ষমতায়ন পক্ষে বরাবরই সওয়াল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সরকার মহিলাদের উন্নয়নের পরিকল্পনাও করেছে বহু সামাজিক প্রকল্প রূপায়ণের মাধ্যমে। কন্যাশ্রী-সহ সরকার যে কয়েকটি নারী কল্যাণমূলক কর্মসূচি চালু করেছে, তার উদাহরণ তুলে ধরবেন মহিলা কর্মীরা।
২০২১-এর লক্ষ্যে তৃণমূল নামাচ্ছে দুর্গা-বাহিনী
তৃণমূল সরকারের লক্ষ্য নারী শিক্ষার প্রচার। কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার কীভাবে বাল্য বিবাহ রোধ করেছে, তা বোঝাবেন কর্মীরা। মোট কথা মহিলাদের কাছে গিয়ে সরকারি প্রকল্পের কী সুবিধা পাচ্ছে প্রতিটি পরিবার তা তুলে ধরাই তৃণমূলের লক্ষ্য। ২০২১-এর লক্ষ্যেই তাঁরা এ ধরনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মহিলা কর্মীদের নামিয়ে ফায়দা তোলার চেষ্টা চালাচ্চে তৃণমূল।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহিলা প্রার্থী
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের সময় রাজ্যের ৬.৯৮ কোটি ভোটারের মধ্যে ৩.৯৯৯ কোটি বা প্রায় ৪৮% ভোটার মহিলা ছিলেন। তৃণমূল মহিলা প্রার্থীদের ভোট ময়দানে নামানোর ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে বরাবর। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ৪১ শতাংশ মহিলা প্রার্থী ছিল, যা অন্য কোনও দলের ছিল না।
মহিলা প্রার্থীপদে অন্য সব দলকে টেক্কা তৃণমূলের
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৩১ জন এবং ২০১৬ সালে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৪৫ জন। সেই তুলনায় বিজেপি ২০১৬ সালে ৩১ জন প্রার্থী দিয়েছিল। সিপিএম ১৯ জন মহিলা প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিল এবং কংগ্রেসে মহিলা প্রার্থীর সংখ্যা ছিল মাত্র আটজন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের পৃথক প্ল্যাটফর্মটি দিয়েছেন
বাংলার সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, বাম শাসনের সময় আমরা কখনও নারীদের প্রতিবাদী মুখ হিসেবে দেখিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সেই প্ল্যাটফর্মটি দিয়েছেন এবং তাদের ক্ষমতায়িত করেছেন। তৃণমূল সরকারের প্রতি মহিলাদের আস্থা আছে। তাই এত সংখ্যক মহিলা বেরিয়ে আসছেন। তাদের আমরা স্বাগত জানাই।
তৃণমূল সর্বদা মহিলাদের ক্ষমতায়নকে শীর্ষে রেখেছে
তৃণমূল সর্বদা মহিলাদের ক্ষমতায়নকে শীর্ষে রেখেছে এবং এটিকে একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়ার মতোই চালু রেখেছে। এই সরকার মহিলাদের নিয়ে যা ভাবছে, তা প্রশংসিত হয়েছে সর্বত্রই। এই যে কন্যাশ্রী প্রকল্প, দেশের ভিতরে এবং বিদেশ থেকে প্রশংসা অর্জন করেছে প্রকল্পটি।
তৃণমূলের মহিলা ক্ষমতায়ন, নাটক বললেন রাহুল
এ প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা কটাক্ষ করে বলেন, রাজ্যের মহিলারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের আসল চেহারা দেখেছেন। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ত্রাণ কেলেঙ্কারি এবং রেশন কেলেঙ্কারির সময় আমরা যেমন দেখেছি তেমনই ঝাড়ু দিয়ে তৃণমূলকে তাড়াবে বাংলার মহিলারা। তৃণমূল এই জাতীয় নাটক করে কোনও ফায়দা তুলতে পারবে না।
২০২১-এর লক্ষ্যে প্রশান্ত কিশোরকে পাল্টা!দিলীপ ঘোষের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে প্রভাবশালী তৃণমূল নেত্রী
{quiz_300}