সুখবর রাজ্য সরকারি কর্মীদের! মমতার মাস্টারস্ট্রোকে প্রত্যাশা ছাপিয়ে বাড়ছে বেতন
রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্রত্যাশার থেকেও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর করল মমতার সরকার। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেতনবৃদ্ধির কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
কত গুণ বাড়ছে বেতন
অর্থমন্ত্রী এদিন ঘোষণা করেন ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে বেতন কাঠামো চালু হবে। অভিরূপ সরকারের নেতৃত্বাধীন পে কমিশন একলাফে সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল। প্রস্তাবিত ২.৫৭ গুণ বেতন বাড়ানোর সুপারিশের থেকে বেশি ২.৮০৯ গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোন অঙ্কে বাড়ছে বেতন
উদাহরণ স্বরূপ জানানো হয়েছে, যাদের বেতন ছিল ১০০ টাকা। তারা এখন ২৮০ টাকা ৯০ পয়সা বেতন পাবেন। ১০০ টাকার উপর মহার্ঘ্য ভাতা ছিল ১২৫ টাকা। তা জুড়়ে দিয়েই বেতনবৃদ্ধি করা হয়েছে ১৪.২ শতাংশ। অর্থাৎ এই হিসেবে মোট বেতন দাঁড়াচ্ছে ২৫৭ টাকা। তার উপর যোগ হবে তিন বছরের ইনক্রিমেন্ট। সব মিলিয়ে মোট বেতন দাঁড়াবে ২৮০.৯০ টাকা।
বাড়ি ভাড়া ও মেডিকেল ভাতা
একইসঙ্গে এদিন হাউস রেন্ট বাবদ ভাতার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। মূল বেতনের ১২ শতাংশ পর্যন্ত সর্বোচ্চ সীমায় বাড়ানো হয়েছে। মেডিকেল ভাতা ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করার পরামর্শ দিয়েছিল কমিশন, রাজ্য সরকার তা বৃদ্ধি করেছে ৫০০ টাকা। আর ঊর্ধ্বসীমা ২৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৫০০ টাকা করা হয়েছে।
গ্র্যাচুইটিতে বিরাট স্বস্তি
টিফিন খরচ ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করার সুপারিশ করেছিল পে কমিশন। রাজ্য তা বাড়াল ৩০ টাকা। সর্বোচ্চ পরিমাণ ৬০ থেকে বেড়ে হল ১৮০ টাকা। গ্র্যাচুইটিতে বিরাট স্বস্তি পেলেন সরকারি কর্মীরা। এতদিন এর সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল ৬ লক্ষ টাকা। তা বাড়িয়ে ১০ লক্ষ টাকা করার সুপারিশ করেছিল কমিশন। মমতার সরকার তা বাড়িয়ে করল ১২ লক্ষ টাকা।
এরিয়ার না দেওয়ায় সিদ্ধান্ত
তবে একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বেতন-সহ আনুষাঙ্গিক ভাতা বাড়ানো হয়েছে যথেষ্ট। তাই এরিয়ার দেওয়া হবে না। এরিয়ারের বিপুল আর্থিক বোঝা রাজ্যের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তা নিয়ে অবশ্য রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ ক্ষুব্ধ। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় পর বেতন বৃদ্ধির ঘোষণা হল। কিন্তু তাল কেটে গেল এরিয়ার না দেওয়ার সিদ্ধান্তে।