বিজয়ার শুভেচ্ছায় ‘নস্টালজিয়া’! রীতি মেনে বাংলায় চিঠি-সংস্কৃতি ফেরাচ্ছেন মমতা
বিজয়ার সেই মাহাত্ম্য উধাও। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর রীতি-রেওয়াজ সবকিছুই এখন মুঠো ফোনে বন্দি হয়ে গিয়েছে। পুরনো রীতি একে একে সবই ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে।
বিজয়ার সেই মাহাত্ম্য উধাও। বিজয়ার শুভেচ্ছা জানানোর রীতি-রেওয়াজ সবকিছুই এখন মুঠো ফোনে বন্দি হয়ে গিয়েছে। পুরনো রীতি একে একে সবই ধূলিসাৎ হয়ে যাচ্ছে। ফেসবুক-হোয়াটস অ্যাপ-টুইটার-ইনস্টাগ্রামে একটি মেসেজ পাঠিয়েই দায় সারছেন অনেকে। কিন্তু বাংলায় ফেসবুক-হোয়াটস অ্যাপ সরিয়ে চিঠি-সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার চিঠিতে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী স্থির করেছেন, তিনি এবার চিঠিতে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা জানাবেন। বাঙালির সেই হারিয়ে যাওয়া সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে এনে সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর লেখা শুভেচ্ছা বার্তা চিঠির মোড়কে এবার যাবে ঘরে ঘরে।
খ্যমন্ত্রী ফেরাতে চান বাংলার চিঠি সংস্কৃতি
বাংলা কেন বিশ্বজুড়ে এখন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের জমানা। সেই চিঠি লেখা তো এখন বিস্ময় ইতিহাস। চিঠি লেখাও নেই, চিঠি পড়াও নেই। এখন মেসেজ পড়া হয় মুঠো ফোনে। বাঙালির চিঠি লেখা বা চিঠি পড়ার সেই নস্ট্যালজিয়ার স্বাদ দিতে। বিজয়ার শুভেচ্ছার মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফেরাতে চান বাংলার চিঠি সংস্কৃতি।
বিজয়ার শুভেচ্ছা-বার্তা সম্বলিত চিঠি মমতার
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বিজয়ার শুভেচ্ছা-বার্তা সম্বলিত চিঠি। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সেই চিঠি পাঠানো হবে। জলের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়করা তো আছেনই। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর পাঠানো বিজয়ার শুভেচ্ছা-চিঠি যাবে অধ্যাপক, শিক্ষক, আইনজীবী, চিকিৎসক থেকে শুরু করে স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রীদের কাছেও।
বিজয়ার শুভেচ্ছা চিঠির মাধ্যমে মমতার ইচ্ছায়
নবান্ন সুত্রে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইচ্ছা অনুযায়ী এবার বিজয়ার শুভেচ্ছা চিঠির মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। দশমীর পর থেকেই শুভেচ্ছা-চিঠি পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিজয়া-বার্তায় প্রথমেই করোনার আবহে রাজ্যবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
বিজয়ার শুভেচ্ছায় মুখ্যমন্ত্রী কী লিখলেন
মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, দুর্গাপুজো সম্পন্ন হল। বিশ্বব্যাপী অতিমারীর মদ্যেই সচেতন দায়িত্ববোধের সঙ্গে পালিত হল আমাদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। এই সচেতনতা ও সহযোগিতার জন্য আমরা সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। তিনি আরও লেখেন- শান্তি ও সৌহার্দ্যের বাতাবরমে জগজ্জননীর আরাধনা সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্নভাবে সমাধা হল কঠিন পরিস্থিতিতে, এ আমাদের গৌরব।
আনন্দে সতর্ক থাকার পরামর্শ মমতার
শুধু দুর্গোৎসব বা বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দীপাবলি ও শ্যামাপুজোর আনন্দে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তা তিনি তাঁর বিজয়া-বার্তায় বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। রাজ্যবাসীকে তিনি ভালো থাকতে, সুস্থ ও আনন্দে থাকতে বলেছেন তাঁর শুভেচ্ছা বার্তার মাধ্যমে।