অন্ডাল থেকে দমদম ছুটবে বুলেট ট্রেন! পুজোর আগে মোদীকে পাল্টা চাপ মমতার
রাজ্য ইতিমধ্যে ৩০০ কোটি টাকা লগ্নি করায় রাজ্যের অংশীদারিত্বও বেড়েছে অন্ডাল বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর কার্যকরের পাশাপাশি বুলেট ট্রেন চালানোর দাবিও তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু মোদীর রাজ্যে নয়, বাংলাতেও চালাতে হবে বুলেট ট্রেন। দাবি তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি ভারত-জাপান যৌথ উদ্যোগে বুলেট টেন প্রকল্পের শিলান্যাস হয়েছে মোদীর রাজ্যে। তারপরই অন্ডাল থেকে দমদম বুলেট ট্রেন চালানোর প্রস্তাব দিয়ে বসলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার নবান্ন মুখ্যমন্ত্রী অন্ডাল বিমানবন্দর কার্যকর করার কথা বলেন। পশ্চিম বর্ধমানের এই বিমানবন্দরের অচলাবস্থা কাটাতে এবার সেখানে লগ্নি করারও প্রস্তাব দেন। মোট ১২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথাও বলেন তিনি। এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা নিয়ে সিদ্ধান্তও হয়েছে। রাজ্য ইতিমধ্যে ৩০০ কোটি টাকা লগ্নি করায় রাজ্যের অংশীদারিত্বও বেড়েছে। রাজ্যের অংশীদারিত্ব এখন ১১ থেকে বেড়ে ২৬ শতাংশ।
এদিন শিল্প, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থান স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক হয় নবান্নে। সেখানে অন্ডাল বিমানবন্দরের অচলাবস্থা কাটিয়ে শীঘ্রই কার্যকর করে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজ্যের অংশীদারিত্ব বেড়ে যাওয়ায় এই বিমানবন্দরের পরিচালকমণ্ডলীতে এখন থেকে দু্'জন সরকারি প্রতিনিধি থাকবে।
অন্ডালে সরকারি গুরুত্ব বাড়তেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় চমক দেন। তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা করেই দাবি তোলেন, 'অন্ডাল থেকে দমদম বিমানবন্দর পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালাতে হবে। প্রয়োজনে শিলিগুড়ি থেকে শিয়ালদহ পর্যন্তও এই প্রকল্প চালু করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।'
বাম জমানায় অন্ডালে বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু হয়। যৌথ উদ্যোগে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি সংস্থা বেঙ্গল এরট্রোপলিস নামে একটি সংস্থা বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু করে। তখন সরকারের হাতে সমান্য অংশ ছিল। কিন্তু সেই অংশীদারিত্ব এখন অনেকটাই বেড়েছে মমতার আমলে। ফলে সরকার গুরুত্ব আরোপ করতে চাইছে। উল্লেখ্য, বাম আমলে নির্মাণকাজ শুরু হলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতার হাতেই এই বিমান বন্দরের উদ্বোধন হয়।
বর্ধমান ও দুর্গাপুরের শিল্পাঞ্চলের পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড ও বিহারের দিকে তাকিয়ে বিমানবন্দর চালু করা হয়েছিল। ঘটা করে বিমান পরিষেবা চালু করা হলেও তা মুখ থুবড়ে পড়ে অচিরেই। বিমানবন্দর তীব্র আর্থিক সংকটে পড়ে। এবার রাজ্য সরকার লগ্নির ডালি সাজিয়ে এগিয়ে আসছে। সেইসঙ্গে বুলেট ট্রেন চালু করার প্রস্তাব। তাই এবার এরট্রোপলিসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে অন্ডালের গুরুত্ব আরও বাড়ানোই মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য।