ঝাড়খণ্ড সীমান্ত ‘সিল’ করার নির্দেশ মমতার, হাতির পাল-বাঘের তাণ্ডবে ছুড়লেন তির
জঙ্গলমহলের উর্বর জমিতে চাষের দফারফা করে দিচ্ছে হাতির পাল। বিঘার পর বিঘার ফসল নষ্টই শুধু নয়, ঝাড়খণ্ড থেকে হাতির পাল এসে মানুষও মারছে।
জঙ্গলমহলের উর্বর জমিতে চাষের দফারফা করে দিচ্ছে হাতির পাল। বিঘার পর বিঘার ফসল নষ্টই শুধু নয়, ঝাড়খণ্ড থেকে হাতির পাল এসে মানুষও মারছে। সেই হাতির পাল রুখতেই এবার সীমান্ত 'সিল' করার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বন দফতরের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, এসব গাফিলতি তিনি বরদাস্ত করবে না।
মুখ্যমন্ত্রী উষ্মাপ্রকাশ করে বলেন, ঝাড়খণ্ড থেকে হাতি ছে়ড়ে দিচ্ছে আর রাজ্যের মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, কেন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। ঝাড়গ্রামের প্রশাসনিক বৈঠকে বন আধিকারিককে দাঁড় করিয়ে তিনি বলেন, হাতি-বাঘ তাণ্ডব চালাচ্ছে জঙ্গলমহলে ঢুকে, কেনও হাতি ঢোকের পথ সিল করা হচ্ছে না।
মমতা বলেন, আপনারা জানেন কীভাবে ওদের পথ আটকানো যায়, কেন সীমান্তেই তাঁদের পথ রোখা হচ্ছে না। মানুষগুলো যে মারা যাচ্ছে, তার দায় কে নেবে? এরপরই তিনি প্রশ্ন করেন, কতজন মারা গিয়েছেন এ বছর। আধিকারিক জানান ১৫ জন। মুখ্যমন্ত্রী তখন বলেন, গতবার সাতজন মারা গিয়েছিল, এবার কেন ১৫ জন মারা গেল, এর দায় অস্বীকার করতে পারবেন!
তাই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ ঝাড়খণ্ড সীমান্তেই হাতির পাল আটকে দিতে হবে। বাংলায় ঢুকে যেন ঝাড়খণ্ডের হাতি তাণ্ডব চালাতে না পারে। বন দফতরকে তিনি দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথার তির ঝাড়খণ্ড সরকারের দিকেও। ঝাড়খণ্ড সরকারেরও যে এ ব্যাপারে কিছু দায়িত্ব থাকে, তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন কথার মার-প্যাঁচে।
তিনি এদিন জঙ্গলমহলে বিকল্প কর্মসংস্থানের পরিকল্পনার কথাও জানান। তাঁর জেলা সফরের প্রথমদিনে ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বাতলে দেন কোন পথে রাজ্যে আসতে পারে বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ। তিনি কর্মসংস্থানের নতুন পরিকল্পনায় হোম ট্যুরিজম থেকে শুরু করে কাজু-মাশরুম ও আঙুর চাষে জোর দেন তিনি। এ প্রসঙ্গেও বলেন বাংলার চাষাবাদে যেমন ক্ষতি বন্ধ করতে হবে হাতির পালকে রুখে, তেমনই মানুষের প্রাণ রক্ষাও করতে হবে।