টেট দুর্নীতি, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ফের চক্রান্ত নিয়ে সরব মমতা
শিক্ষক দিবস আজকে। সেই শিক্ষক দিবসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কথা বললেন মমতা। তিনি বলছেন যে, রাজ্যের নামে অপপ্রচার চলছে। তাঁর দাবি সরকারের বিরুদ্ধে ফের চক্রান্ত হয়েছে। তিনি বলেন , কাজ করতে গেলে ভুল হবে। সব তথ্য সত্য নয়। ভুল করলে শুধরে নিতে হয়। কিছু মানুষ সব সময় চক্রান্ত করছে, ভুল করলে শুধরে নেওয়া হবে। যদি কেউ ভুল করে থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সমস্যায় রয়েছে রাজ্য সরকার
টেট পরীক্ষা এবং এতে নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় রয়েছে রাজ্য সরকার। হাইকোর্টে একের পর এক মামলা হয়ে পিছিয়েছে পরীক্ষা। শেষ পর্যন্ত বড় খোলাসা হয় মাস দুয়েক আগে। টেট দুর্নীতিতে নাম জড়িয়ে যায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। বিভিন্ন ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা। সেই বিষয় নিয়ে সমস্যা চলছে। এখনও এই বিষয় নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা।
প্রতিবাদ
সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে চাকরি প্রার্থীরা গিয়ে প্রতিবাদ জানায় সরাসরি নিয়োগের দাবি জানিয়ে। এসবের মাঝেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন যে রাজ্যের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে। অনেকেই রয়েহে রাজ্যের বিরুদ্ধে এমন কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। আর সেটাই করা হয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
ডিসেম্বরের মধ্যেই পরীক্ষা
এদিকে রাজ্য সরকার প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা নিতে চলেছে ডিসেম্বরের মধ্যেই। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটি সম্প্রতি বৈঠকে বসে। ডিসেম্বরের ফের টেট পরীক্ষা নেবে সরকার সেখানেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
টেট দোলাচল
প্রাথমিক
শিক্ষা
পর্ষদে
নতুন
সভাপতি
নিয়োগ
করা
হয়েছিল
নিয়োগ
নিয়ে
বিতর্কের
মধ্যেই।
অ্যাডহক
কমিটি
তখন
তৈরি
হয়
আগেই।
এই
বৈঠক
করেন
তারাই।
আর
সেখানেই
শিক্ষক
নিয়োগ
নিয়ে
টেট
পরীক্ষা
নেওয়ার
সিদ্ধান্ত
নেওয়া
হয়।
তবে
ঠিক
কত
তারিখ
এই
পরীক্ষা
হবে
এখনও
জানা
যায়নি
তা।
তা
জানানো
হবে
মুখ্যমন্ত্রীকে।
জানা
যাচ্ছে
যেদিন
এই
সিদ্ধান্ত
নেবে
কমিটি
সেইদিন
চূড়ান্ত
তারিখের
বিষয়টি
তৈরি
হবে
বলে
বলা
হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী
ব্রাত্য
বসুর
সঙ্গেও
বৈঠক
করবেন
বলে
বলা
হয়েছিল
তখন।
অন্যদিকে
প্রাথমিক
শিক্ষা
পর্ষদের
সভাপতি
তারিখ
নিয়ে
তখন
বলা
হয়েছিল।
এখন এই বিষয়ে রাজ্যে চলছে দোলাচল। এই অবস্থার জট কবে কাটবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। সবমিলিয়ে রাজ্যের যে এই বিষয়ে অস্বস্তি বাড়ছে তা স্পষ্ট।