নীল-সাদা স্কুল ইউনিফর্ম - বিশ্ব বাংলা লোগো , রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি এবিভিপির
নীল-সাদা স্কুল ইউনিফর্ম - বিশ্ব বাংলা লোগো , রাজ্য জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি এবিভিপির
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিদ্যালয়গুলিতে যে নীল-সাদা স্কুল ইউনিফর্ম ও বিশ্ব বাংলার লোগো ব্যবহার করার নোটিশ জারি করেছে তার তীব্র বিরোধিতা করল অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ। তাঁরা বলছেন , 'সরকারের এই সিদ্ধান্ত সরাসরি বিদ্যালয়ের স্বাধীনতা ও শিক্ষাক্ষেত্রের বৈচিত্র্যের উপর আঘাত। প্রতিটি বিদ্যালয়ের একটা নিজস্ব লোগো রয়েছে, যা সেই স্কুলের ঐতিহ্যকে বহন করে। অথচ মাননীয়ার ফ্যাসিস্ট সরকার আজকে বিদ্যালয়ের ঐতিহ্যকে সম্পূর্ণ ধুলিস্যাৎ করে দিতে চেয়ে বিশ্ব বাংলা লোগো ব্যবহার করার জন্য বলছে।'
এবিভিপি দক্ষিণবঙ্গ প্রান্ত রাজ্য সম্পাদক সঙ্গীত ভট্টাচার্য বলেন , "সরকারের স্মরণে রাখা উচিত এই রাজ্যের বেশিরভাগ বিদ্যালয় তৈরি হয়েছে কোন না কোন রাজা, জমিদার ও দানশীল ব্যক্তির দানের জায়গায়। রাজা মহারাজার আমল থেকে এক একটি বিদ্যালয়ের স্থাপত্য, রীতি-নীতি, পোশাক-পরিচ্ছদের সাথে অনেক ইতিহাস জড়িত। আমরা জানি প্রতিটি বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীকে তার নির্দিষ্ট ড্রেস ও ব্যাচ দিয়েই চিহ্নিত করা যায়। অনেক সময় ছাত্রছাত্রীরা যখন কোনো প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান, বিশেষ করে প্যারেডে অংশগ্রহণ করে তখন তাদের নির্দিষ্ট ড্রেসকোড চিনিয়ে দেয় যে সে কোন স্কুলের প্রতিনিধি।
এতে করে সেই ছাত্র বা ছাত্রীটি তাদের নিজেদের স্কুল ড্রেসকে সম্মান করতে শেখে। আর আজ এই সবকিছু ভুলে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার সারা রাজ্যে জুড়ে নীল-সাদা পোশাক পরার মতো তুঘলকী ফরমান জারি করেছে। আর এই তুঘলকী ফরমান জারি হতে দেখেও এই রাজ্যের বড় বড় স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবীরা চুপ করে আছেন।"
এপ্রিল থেকে আগামী তিন মাসে দেশে বড় কর্মী নিয়োগের সম্ভাবনা
তিনি আরও বলেন , "রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিড-ডে-মিল রান্না হচ্ছে এবং তা ছাত্র-ছাত্রীদের খেতে বাধ্য করা হচ্ছে, পর্যাপ্ত শিক্ষক এর অভাবে পড়াশোনা লাটে উঠেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এসব নিয়ে ভাববার সময় নেই অথচ কবরে ঘুমিয়ে থাকা মহম্মদ বিন তুঘলক আজ যেন হঠাৎ জেগে উঠে এসে বলছে কাল থেকে তোমাদের সবাইকে নীল সাদা ড্রেস পড়ে স্কুলে আসতে হবে!"
এবিভিপি মনে করে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও যে রাজনৈতিক দলের দাসত্ব গ্রহণ করতে হবে তার একটা অপচেষ্টা এই রাজ্য সরকার চালাচ্ছে। কিন্তু বিদ্যার্থী পরিষদ কখনোই রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে বাস্তবায়িত হতে দেবে না। যদি রাজ্য সরকার দ্রুত তাদের এই নোটিফিকেশন প্রত্যাহার না করে তাহলে আগামীদিনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ সারা রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামবে।