অভিষেকের 'অভ্যুত্থান' ভয়েই পদক্ষেপ মমতার, দাবি বিজেপির! পাল্টা জবাব তৃণমূলেরও
শনিবার তৃণমূলের (trinamool congress) শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে দলের সব পদ অবলুপ্তির কথা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। তারপরে জাতীয় কর্ম সমিতিও তৈরি করে দেন তিনি। যা নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেছেন বিজেপি
শনিবার তৃণমূলের (trinamool congress) শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে দলের সব পদ অবলুপ্তির কথা জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। তারপরে জাতীয় কর্ম সমিতিও তৈরি করে দেন তিনি। যা নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেছেন বিজেপি (bjp) নেতা অমিত মালব্য (amit malviya)। টুইটে তিনি বলেছেন, দলে অভ্যুত্থানের ভয়েই পদক্ষেপ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এর পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও।
|
তৃণমূলকে কটাক্ষ করে টুইট
এদিন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য তৃণমূলকে কটাক্ষ করে টুইট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, এক ব্যক্তি এক পদের ইস্যুতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ইস্তফার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সেই কারণে ভীত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সব পদের অবলুপ্তি ঘটিয়ে দিয়েছেন। এরপরেই তিনি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন অভিষেক ঘনিষ্ঠদের কোনঠাসা করতে। কিন্তু এর পরে কী? সব মন্ত্রীকে বহিষ্কার করে কি তিনি একাই সরকার চালাবেন, প্রশ্ন করেছেন অমিত মালব্য। শেষে খোঁচা দিয়ে বলেছএন অভ্যুত্থানের আশঙ্কাই সত্যি!
পাল্টা নিশানা তৃণমূলের
এর পাল্টা অমিত মালব্যকে নিশানা করতে গিয়ে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, নিজের চড়কায় তেল দিন। শান্তনু ঠাকুর, জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে নিয়ে তিনি কি কোনও টুইট করেছেন, প্রশ্ন কুণাল ঘোষের। তিনি আরও বলেছেন, বিজেপিতে বিদ্রোহ করেছেন যাঁরা, তাঁরাই অমিত মালব্যকে টুইট মালব্য বলে কটাক্ষ করেছেন। অমিত মালব্যকে পরিযায়ী বলে অ্যাখ্যা দিয়ে কুণাল ঘোষ বলেছেন, এই নেতার কোনও জনভিত্তি নেই। শুধু সবসময় টুইট করেন। কুণাল ঘোষ বলেছেন রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে কুৎসা করেও কিছুই করতে পারেনি। কটাক্ষ করে তিনি আরও বলেছেন, কেউ দেখে শেখে আর কেউ ঠেকে। কিন্তু অমিত মালব্য কিছুতেই কিছু শেখেননি।
তৃণমূলের মমতা ছাড়া আর কারও পদ নেই
এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে শনিবার কালীঘাটের বাড়িতে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় ২০ জনের জাতীয় কর্মসমিতির নেতাদের নাম ঘোষণা করেন। এই বৈঠকেই তৃণমূলের সব পদ অবলুপ্ত করতে মত নেন বিভিন্ন নেতাদের। সবাই সহমত প্রকাশ করেন। জাতীয় কর্মসমিতিতে একদিকে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, ঠিক তেমনই ফিরহাদ হাকিমের মতো নেতাও স্থান পেয়েছেন। ভিন রাজ্যের একাধিক নেতা সেই রাজ্যে স্থান পেয়েছেন।
তৃণমূলে এক ব্যক্তি এক পদ নিয়ে বিতর্ক
গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক ব্যক্তি একপদের নীতিকে সামনে আনতে চাইছিলেন। কিন্তু ডিসেম্বরে হওয়া কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে তা করা যায়নি। আর এবারের পুরসভা নির্বাচনের তালিকা ঘোষণা নিয়েও বিতর্ক তৈরি হয়। সেই সময় অভিষেক ঘনিষ্ঠরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি এক পদের দাবি করে সরব হন। এমন কী সৌগত রায়ের মতো বর্ষীয়ান সাংসদও প্রকাশ্যে অভিষেকের মতবাদকে সমর্থন করেন। যদিও আপাতত সেই বিতর্ক মেটাতে সব পদের অবলুপ্তি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলকে সহায় দেওয়া আইপ্যাক কি ফিরবে পশ্চিমবঙ্গে? মমতা কথায় অবস্থান স্পষ্ট