দলীয় মুখপত্রের ক্যালেন্ডারে তারিখ বিভ্রাট, মমতা-পার্থর 'দ্বিমত' নিয়ে প্রশ্ন
দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার ক্যালেন্ডারে তারিখ ভুল ছাপানো নিয়েও বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়েরের কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলার ক্যালেন্ডারে তারিখ ভুল ছাপানো নিয়েও বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ দায়েরের কথাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তারপরেই লোকসভা ভোটের দামামা বাজবে। তাই বিরোধীদের আক্রমণ করার পাশাপাশি বিজেপিকেই প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে বেছে নিয়েছেন তিনি।
মোদী সরকার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রধান ষড়যন্ত্রকারী। গ্যাস, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি সবের জন্যই কেন্দ্রের সরকারকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা এবং বিচ্ছিন্নতাবাদে মদতেরও অভিযোগ করেছেন তিনি।
একইসঙ্গে দলের মুখপত্র জাগো বাংলার ক্যালেন্ডারে ভুল তারিখ ছাপানোর দায়ও তিনি চাপিয়েছেন বিজেপির ঘাড়ে। শিলিগুড়িতে তিনি বলেন, এটা বিজেপির কাজ। ওরা ষড়যন্ত্র করে ভুল ক্যালেন্ডার ছাপিয়ে জাগো বাংলার স্টলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
জাগো বাংলায় ক্যালেন্ডারে দেওয়া হয়েছে ২০১৮-র ফেব্রুয়ারি মাসটি ৩০ দিনের। ক্যালেন্ডারে ফেব্রুয়ারি মাসে ২৯ ও ৩০ তারিখ থাকাতেই হাসাহাসি শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তেই এই ক্যালেন্ডার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুলের দায় বিজেপির ঘাড়ে দিলেও, তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আগে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নজর এড়িয়ে গিয়েছে। ছাপার ভুল। ভুল সংশোধন করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। চরম বিড়ম্বনার পড়ে নতুন ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে জাগো বাংলা। তবে একই বিষয়ে তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূল মহাসচিবের 'দ্বিমত' নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই রাজনৈতিক মহলে।