১০ মিনিটের দমকা ঝড়ে বিপর্যস্ত মালদহ, ভাঙল ৩০০ বাড়ি, মৃত ২, আহত ১২
১০ মিনিটের প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত মালদহ। ভেঙে পড়ল সহস্রাধিক বাড়ি। আহত হয়েছেন ১২ জন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কলকাতা, ২৫ মার্চ : ১০ মিনিটের প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে বিপর্যস্ত মালদহ। ভেঙে পড়ল সহস্রাধিক বাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০০-র বেশি বাড়ি। বাড়ি ভেঙে মৃত্যু হল দু'জনের। আহত হয়েছেন ১২ জন। এদের মধ্যে আশঙ্কাজনক তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাঁচিল চাপা পড়ে বামনগোলার এক শিক্ষকের কব্জি কাটা যায়। এই ঝড়ের প্রকোপে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে মালদহের পাঁচটি ব্লক। আম ও ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের ফলে।
মাত্র দশমিনিটের দমকা ঝড়। আর তাতেই লন্ডভন্ড হয়ে পড়ল মালদহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। জনজীবন পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তায় পড়েছে বহু গাছ। বিশেষ করে মালদহের আমের ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে এই ঝড়ের ফলে। বিস্তীর্ণ এলাকার সমস্ত আমই ঝরে গিয়েছে। উপড়ে পড়েছে অনেক আমগাছও।
মালদহের
গাজোল,
বামনগোলা,
চাঁচোল,
সবথেকে
বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত।
বাড়ি
চাপা
পড়ে
মৃত্যুর
খবর
আসতে
শুরু
করেছে।
চাঁচোলে
দেওয়াল
চাপা
পড়ে
মৃত্যু
হয়েছে
একজনের।
মনিরুল
ইসলাম
নামে
এক
কিশোরের
মৃত্যুর
খবর
পাওয়া
গিয়েছে
গাজোল
থেকে।
গত
দু'দিন
ধরেই
উত্তরবঙ্গে
প্রবল
বৃষ্টি
হচ্ছিল।
দক্ষিণবঙ্গ
তীব্র
গরমের
দাবদাহ
চললেও,
উত্তরবঙ্গে
সম্পূর্ণ
বিপরীতধর্মী
আবহাওয়ায়
ভয়াবহ
প্রাকৃতিক
দুর্যোগের
আশঙ্কা
ছিল।
আর
সেই
আশঙ্কাই
সত্যি
হল।
শনিবার
সকালে
মাত্র
১০
মিনিটের
ঘূর্ণিঝড়
মালদহকে
লন্ডভন্ড
করে
দিয়ে
গেল।
এই ঝড়ের পরই প্রশাসন উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী নির্দেশ দিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণ পাঠানোর। গৃহহারাদের ত্রিপলের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু কাঁচাবাড়ি ভেঙে পড়ে, পাকা বাড়ির ছাউনি উড়ে যায়। মালদহকে ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।