জেলখাটা প্রেমিক! মানতে পারছে না প্রেমিকা, তারপরের কাহিনি শুনলে শিউরে উঠবেন
ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল প্রেমিক। তারপর থেকেই প্রেমিকা আর যোগাযোগ রাখছিল না প্রেমিকার সঙ্গে। জেল খেটে ফেরার পর প্রেমিক ছুটে গিয়েছিলেন প্রেমিকের কাছে।
ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল প্রেমিক। তারপর থেকেই প্রেমিকা আর যোগাযোগ রাখছিল না প্রেমিকার সঙ্গে। জেল খেটে ফেরার পর প্রেমিক ছুটে গিয়েছিলেন প্রেমিকের কাছে। কিন্তু জেল খাটা আসামীর সঙ্গে সে আর সম্পর্ক রাখতে চায় না, কিশোরী তা জানিয়ে দিয়েছিল সরাসরিই। তারপরই ঘটে গেল চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
জলপাইগুড়ির আদরপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জয় কর্মকার। কিছুদিন আগেই এক ডাকাতির ঘটনায় তার নাম জড়ায়। তারপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ডাকাতির অভিযোগ প্রেমিকের গ্রেফতারির পরই প্রেমিকা স্থির করেছিল, অমন ছেলের সঙ্গে আর সম্পর্ক রাখবে না সে, জেল ফেরত প্রেমিক তা জেনে ফেলতেই ঘটে গেল বিপত্তি।
অভিযোগ, কিশোরীর মায়ের সামনে থেকে প্রেমিকাকে অপরহরণ করে নিয়ে গেল যুবক। স্থানীয় কাউন্সিলরের সাহায্যে পুলিশ সঞ্জয়ের মাসির বাড়ি থেকে উদ্ধার করে অপহৃত কিশোরীকে। অভিযুক্ত যুবক এর পর থেকেই পলাতক। পুলিশ তার খোঁজ চালাচ্ছে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সঞ্জয়ের। ওই কিশোরীর বাড়িতেও যাতায়াত ছিল তাঁর। কিন্তু ডাকাতির অভিযোগে গ্রেফতারের পরই সব ওলট-পালট হয়ে যায়। এরপর প্রেমিকা যোগাযোগ রাখতে অস্বীকার করায় চটে যায় সঞ্জয়। পরীক্ষা দিয়ে স্কুল থেকে ফিরছিল কিশোরী। তখন মায়ের সামনে থেকেই তাকে বাইকে তুলে পগার পার হয়ে যায় প্রেমিক।
[আরও পড়ুন: মহিলা পুলিশকর্মীকে পানীয় 'অফার' অফিসারের, ধর্ষণের পরের ঘটনা আরও রোমহর্ষক]
অভিযোগ, তুলে নিয়ে যাওয়ার পর ওই কিশোরীকে অ্যাসিড দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয় সঞ্জয়। আর বিয়ে না করলে, ওই কিশোরীর বাবা-মাকে খুনের হুমকিও দেয় সে। কিশোরীর মা-ও অভিযোগ জানান, বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে, তার সঙ্গে বিয়ে না দিলে মেয়েকে মেরে ফেলবে। সঞ্জয়কে কিশোরীর মা জানিয়েছিল, মেয়ে বিএ পাস করুক, তুমি নিজের পায়ে দাঁড়াও তারপক বিয়ে দেব। কথা শোনেনি সঞ্জয়।