দুর্ঘটনাকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ
দুর্ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ। দুর্ঘটনার পর সরকারি তরফে উদ্ধারকাজ দেরিতে শুরু হওয়ার অভিযোগে পুলিশ ও দমকলের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকে ঘিরে রণক্ষেত্র মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদ। দুর্ঘটনার পর সরকারি তরফে উদ্ধারকাজ দেরিতে শুরু হওয়ার অভিযোগে পুলিশ ও দমকলের গাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটে।
সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা। করিমপুর থেকে মালদাগামী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দৌলতাবাদের নলিনী বাস্কে সেতু থেকে গোবরা খালে পড়ে যায়। খালে জলের গভীরতা বেশি থাকায় বাসটি সঙ্গে সঙ্গেই জলের মধ্যে ঢুকে যায়। দুর্ঘটনার আওয়াজ পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। নৌকা নিয়ে উদ্ধার কাজে প্রথম চেষ্টা করেন স্থানীয়রাই।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় স্থানীয় থানা এবং জেলার পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে যায় দমকলও।
কিন্তু সরকারি তরফে উদ্ধার কাজ দেরিতে শুরু করা হয়েছে এই অভিযোগে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের গাড়ি এবং দমকলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। আগুনও দেওয়া হয় সরকারি গাড়িতে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শূন্যে গুলি চালায় পুলিশ। বিক্ষোভ সরাতে ব্যাপক লাঠিচার্জও করে পুলিশ। টিয়ার গ্যাসের সেলও ছোঁড়ে। তাতে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে ইটবৃষ্টি।
স্থানীয় সূত্রে দাবি, বাসটিতে কমপক্ষে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন। যদিও সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বেশ কয়েকজন সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন।
যদিও উদ্ধার কাজ দেরি শুরু হওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, পরিবহণ সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা থেকে ঘটনাস্থলে যায় ডুবুরির দল। বাসটিকে উদ্ধারে বড় ক্রেনও নামানো হয়।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান মুর্শিদাবাদের যুব তৃণমূল সভাপতি সৌমিক হোসেন। নৌকায় করে উদ্ধার কাজে তদারকি করেন তিনি। ভোরে কুয়াশা থাকায় দুর্ঘটনা, বলছেন সৌমিক হোসেন।
যদিও, বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের দাবি, ফোনে কথা বলার সময়, এক হাতে স্টিয়ারিং ছিল চালকের। যার ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
যেই ব্রিজে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেই ব্রিজে টোলট্যাক্স নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে কোনও ট্রাফিক নেই। কোনও নজরদারিও নেই। অভিযোগ করেছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী। সেভ ড্রাইভ, সেভ লাইভের নামে সারা রাজ্য জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বাজেট অধিবেশনে যোগ না দিয়েই মুর্শিদাবাদের পথে রওনা দিয়েছেন তিনি। পুরো ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।