বামেরা ফের শক্তি বাড়াচ্ছে, রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপির ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে উড়ছে লালঝান্ডা
বামেরা ফের শক্তি বাড়াচ্ছে, তৃণমূল-বিজেপির ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়ে উড়ছে লালঝান্ডা
২০২১ সালের আগে ফের জেগে ওঠার চেষ্টা করছে বামেরা। বামফ্রন্টের মিছিল হোক বা ডেপুটেশন ফের কর্মীরা ভিড় বাড়াচ্ছেন। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের সময় থেকেই বামফ্রন্টকে বেশে লিলিপুট লাগতে শুরু করেছিল। কিন্তু ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁরা ফের সংঘটিত হতে শুরু করেছে। ফের শক্তিশালী হচ্ছে বামফ্রন্ট।
বাংলার বুকে ফের শক্তি বাড়াতে চাইছে বামফ্রন্ট
করোনার মহামারী আর আম্ফানের বিপর্যয়ের পরবর্তী পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্যের ব্যর্থতাকে পাথেয় করে বাংলার বুকে ফের শক্তি বাড়াতে চাইছে বামফ্রন্ট। সম্প্রতি হাওড়ার উলুবেডিয়ায় ফরওয়ার্ড ব্লকও ফের জেগে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিদ্যুতের দাবিতে ডেপুটেশনের পর এবার অগ্রগামী কিষানসভা উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকে ডেপুটেশন দিল।
আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে কিষান সভা
উলুবেড়িয়া ২ নম্বর বিডিও অফিসে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে অগ্রগামী কিষান সভা ও কৃষক সভার পক্ষ থেকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মতিয়ার রহমান, জমিউস শরীয়ৎ মল্লিক, অপর্ণা পুরকাইত, সেখ নৌসাদ, নিত্যানন্দ দলুই প্রমুখ বামপন্থী নেতৃবৃন্দ।
আন্দোলনকে পাথেয় করেই শক্তি বাড়াতে চাইছে বামেরা
বামফ্রন্টের এই কর্মসূচিতে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়। এদিন বিডিও অফিস ঘেরাও অভিযানে বামফ্রন্টের নেতা-কর্মী ছাড়াও বহু সমর্থক উপস্থিত হয়েছিলেন। বহুদিন পর লাল পতাকায় ছেয়ে যায় এলাকা। উলুবেড়িয়ার ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব এই ভিড় দেখে বেজায় খুশি। বামফ্রন্ট আবার আন্দোলনকে পাথেয় করেই শক্তি বাড়াতে চাইছে।
ফের ময়দানে নেমে লড়াইয়ের রাস্তায় বামেরা
বর্তমানে বাংলায় শাসক তৃণমূলের প্রধান চ্যালেঞ্জার হয়ে উঠেছে বিজেপি। ২০১৯-এ বিজেপির উত্থান বামফ্রন্টকে পিছিয়ে দিয়েছিল। কংগ্রেসও পিছিয়ে পড়েছিল লড়াইয়ে। বিজেপি অঘোষিত দ্বিতীয় শক্তি হয়ে ওঠে বাংলায়। এই পরিস্থতিতে ফের ময়দানে নেমে লড়াইয়ের রাস্তা নিয়েছে বামফ্রন্ট। কংগ্রেসও শক্তি বাড়াচ্ছে। ২০২১-এ মিলিতভাবে তারা লড়াইয়ে নামবে।
মেহনতী খেটে খাওয়া মানুষের পাশে বামেরা
ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা মতিয়ার রহমান বলেন, ইতিমধ্যেই রাজ্য-রাজনীতিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিবাদী মানুষের সঙ্গে উলুবেড়িয়ার মেহনতী খেটে খাওয়া মানুষেরাও শাসকের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে। সোচ্চার হয়েছে রাজ্যের শাসকের বিরুদ্ধে। একের পর এক দুষ্কৃতী হামলাতেও প্রাণের বাজি রেখে তারা লড়ে যাচ্ছে শাসকের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করেই। তাঁদের এই আন্দোলন আরও বৃহৎ আকারে চলবে।
শোভনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকার 'বৈশাখী’তে, উত্থানের বার্তা দিলেন রত্না