আর বামপন্থী নন লক্ষ্মণ, উন্নয়নপন্থী সেজে নন্দীগ্রামের খলনায়কের বার্তা শুভেন্দুকে
বিজেপি ছাড়ার পরই তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি ফোনও করেছিলেন একাধিকবার।
বিজেপি ছাড়ার পরই তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি ফোনও করেছিলেন একাধিকবার। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী আমল দেননি। এখনও তিনি তৃণমূল বা কংগ্রেসে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী। আর এই অবস্থায় সরাসরি শুভেন্দুকে দিলেন উদারতার বার্তা।
লক্ষ্মণ শেঠ বলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে প্রকাশ্যে অনেক জায়গাতেই বলেছেন, নন্দীগ্রাম গণহত্যার নায়ক লক্ষ্মণ শেঠ। তারপর তিনি বলেছেন, তিনি যদি তৃণমূলে যোগ দেন, তাঁর সঙ্গে এক মঞ্চে বসব কী করে, কী করে তাঁর বাড়িতে যাব। শুভেন্দুর এ ব্যাপারে ছ্যুৎমার্গ থাকতে পারে, কিন্তু আমার নেই।
তিনি বলেন, আমার আপত্তি নেই শুভেন্দু অধিকারীর বাড়িতে যেতে, তাঁর সঙ্গে মঞ্চ শেয়ার করতেছ কারণ এটুকু উদারপন্থী না হলে রাজনীতি করা যায় না। তাঁর কথায়, আমি নন্দীগ্রাম গণহত্যার খলনায়ক বলে প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু তা কতদূর সত্যি, তা তো বিবেচনা করতে হবে। তা না করেই আমার গায়ে খলনায়কের তকমা সেঁটে দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্মণ শেঠের কথায়, যখন নন্দীগ্রাম-কাণ্ড ঘটেছিল তখন আমি সিপিএম করতাম। মনে রাখতে হবে নন্দীগ্রাম-কাণ্ডে কিন্তু সিপিএমের ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আর তৃণমূলের ১৪ জন মারা গিয়েছিল। তাঁরাই এখন শহিদ দিবস পালন করছে। আর এই ঘটনায় মাওবাদী যোগ তো ছিলই, তার বহু প্রমাণও রয়েছে। তাই আমার গায় খলনায়কের তকমা সেঁটে দেওয়া কতটা যুক্তিগ্রাহ্য তা বিবেচ্য হওয়া উচিত।
লক্ষ্মণ শেঠ দাবি করেন, আমার গায়ে খলনায়কের তকমা যেমন লাগিয়েছে প্রচার মাধ্যম, তেমনই হলদিয়ার বেতাজ বাদশা, মুকুটহীন সম্রাট, কিংবা হলদিয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও আমাকে তকমা দিয়েছেন আমরা। আমি মনে আমি এসব কিছু নেই। চিরদিন গ্রাসরুটে নেমে রাজনীতি করেছি। সেদিন যেমন আমার ভিত্তি ছিলেন মানুশ, এখনও সবাই সরে যায়নি আমার পাশ থেকে। এখন আমার জনভিত্তি রয়েছে, তাঁরাই আমার শক্তি।
আর এখন আমি বামপন্থী নই, নই দক্ষিণপন্থীও। আমি উন্নয়নপন্থী। বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বামপন্থী, দক্ষিণপন্থী বলে কিছু হয় না। তিনি তাঁর এই কথার মাধ্যমে ফের একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিই তাঁর সমর্থন বার্তা দিয়ে রাখলেন। লক্ষ্মণ শেঠ জনপ্রিয় এক টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে মমতা বন্যো্ষপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী ও তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা দেন।