রাজ্যের উন্নয়ন নিয়েই প্রশ্ন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রীর! ২১-এর আগে জল্পনা তুঙ্গে
রাজ্যের উন্নয়ন নিয়েই প্রশ্ন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রীর! ২১-এর আগে জল্পনা তুঙ্গে
জেলায় দলের নেতৃত্ব নিয়ে সমালোচনার পরের দিনই উন্নয়ন নিয়ে কটাক্ষ করলেন ইংরেজবাজার পুরসভায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী। এদিন তিনি জেলার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন। যদিও তৃণমূলের নেতারা সর্বত্রই দাবি করে থাকেন তৃণমূলের শাসন কালে যা উন্নয়ন হয়েছে, তা রাজ্যে এর আগে হয়নি।
মালদহে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পুরনো
একটা সময়ে মালদহে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলতে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে সাবিত্রী মিত্রের দ্বন্দ্বকেই বোঝাত। কিন্তু বর্তমানে ইংরেজ বাজারের প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে বর্তমান চেয়ারম্যান নীহাররঞ্জন ঘোষের দ্বন্দ্বও প্রবল।
দ্বন্দ্ব মেটাতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন স্বয়ং সুপ্রিমো
মালদহে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে হস্তক্ষেপ করেছিলেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা পরিস্থিতির আগে তিনি মালদহ সফরে গিয়ে বলেছিলেন, নিশ্চয়ই তাদের কেথাও ভুল আছে। সেই ভুল সংশোধন না হলে হাজারটা মিটিং করেও কিছু লাভ হবে না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি তীব্র অন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সেই সময়। সাবিত্রী মিত্র এবং গৌরচন্দ্র মণ্ডলকে রীতিমতো ধমক দিয়ে দলনেত্রী বলেছিলেন, সারাক্ষণ ঝগড়া করছ, এত ঝগড়া করো কেন? একদম ঝগড়া করবে না।
জেলায় দলের প্রতি মনোভাব
কৃ্ষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর কটাক্ষ এখন যাঁরা দলের নেতা হয়ে বসেছেন, এদিক ওদিক থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন, সেদিন তাঁরা কেউ ছিল না। এখন একদল লুম্পেন নেতা হয়ে বসে দলটাকে ধ্বংস করছে। যা দেখে তাঁর কষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার কার্যত তিনি একা মালদহের নেতাজি মোড়ে শহিদ বেদিতে মালা দিয়ে নিজের কার্যালয়ে বসে ভার্চুয়াল সভা দেখেন এক সময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা তথা মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।
নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ
এদিন মালদহের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ইংরেজবাজার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তাঁর ক্ষোভ মূলত দলের নিয়ন্ত্রণ ইংরেজবাজার পুরসভার বিরুদ্ধে। এদিন তিনি বন্যা কবলিত এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান।
উন্নয়ন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
যদিও তৃণমূলের নেতারা সর্বত্রই দাবি করে থাকেন তৃণমূলের শাসন কালে যা উন্নয়ন হয়েছে, তা রাজ্যে এর আগে হয়নি। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই দাবিই করে থাকেন। তাহলে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর অবস্থান কি দলবিরোধী হয়ে যাচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, রাজনীতিবিদদের একাংশ।
চিন ভুটানের অংশ দখলে এবার দ্বিগুণ আগ্রাসী! অরুণাচলকে টার্গেটে রেখে বেজিং-এর নয়া প্যাঁয়তারা