নেতাজি ইন্ডোর কাউন্টিং সেন্টারের বাইরে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি! তৃণমূল নেতার উপর হামলার অভিযোগ কংগ্রেসের
ব্যাপক উত্তেজনা নেতাজি ইন্ডোরের বাইরে। সকাল থেকেই একাধিক ওয়ার্ডের ভোট গণনা চলছিল সেখানে। কিন্তু হঠাত করেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ। অভিযোগের তির কংগ্রেসের বিজয়ী
ব্যাপক উত্তেজনা নেতাজি ইন্ডোরের বাইরে। সকাল থেকেই একাধিক ওয়ার্ডের ভোট গণনা চলছিল সেখানে। কিন্তু হঠাত করেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থীর উপর হামলার অভিযোগ। অভিযোগের তির কংগ্রেসের বিজয়ী প্রার্থী সন্তোষ পাঠকের অনুগামীদের দিকে।
ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র পরিস্থিতি। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পৌঁছে যান পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
কলকাতার একাধিক ওয়ার্ডের ভোট গণনা চলছে নেতাজি ইন্ডোরে। রীতিমত হেভিওয়েট একটি ভোট গণনা কেন্দ্র। সেখানে এই ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা। যদিও পুলিশের দাবি, বিক্ষিপ্ত একটা অশান্তি হলেও তা মুহূর্তে কন্ট্রোল করা হয়েছে। গণনা কেন্দ্রগুলিতে পুলিশের তরফে ত্রিস্তরিয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় গণনাতে কোনও প্রভাব পড়েনি বলেই দাবি করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
উল্লেখ্য কলকাতা পুরসভার ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড ভোটের দিন থেকে উত্তেজনা ছিল। আর তা গড়াল ভোট গণনার দিনেও। ওই ওয়ার্ডটি কংগ্রেসের কার্যত শক্তঘাঁটি। দিনের পর দিন ওই ওয়ার্ডটি থেকে জিতে আসছেন সন্তোষ পাঠক। এবার এই ওয়ার্ড তৃণমূলের কাছে ছিল প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। কিন্তু এরপরেও দেখা গেল ব্যাপক ভোটে জয় পেলেন কংগ্রেসের এই প্রার্থী। আর এরপরেই অশান্তি বলে অভিযোগ।
ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের প্রার্থী তথা নেতার অভিযোগ, গণনা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পরেই সন্তোষ পাঠকের অনুগামীরা হঠাত করেই তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এমনকি রড দিয়েও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওই তৃণমূল নেতার। যদিও কংগ্রেসের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের দাবি, গণনাতে হেরে যাওয়ার পরেই ক্ষোভ থেকেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়। আর তা কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। মুহূর্তে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
যদিও ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল বাহিনী। দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
উল্লেখ্য, ভোটের দিনও একই ভাবে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে শাসকদলের বিরুদ্ধে অবাধ সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল বিরোধীরা। ছাপ্পা সহ বিরোধীদের এজেন্ট বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। আর একই ভাবে ফের আজও উত্তপ্ত হয়ে উঠল দুই নেতার বচসায়।
জানা যাচ্ছে, ঘটনার পরেই নেতাজি ইন্ডোরের সামনে ব্যাপক পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।