সংগ্রামপুর বিষমদ-কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত, চূড়ান্ত রায়দান সোমবার
একটা সময় সংগ্রামপুর বিষমদ-কাণ্ডের ঘটনাতে কার্যত নড়ে গিয়েছিল গোটা বাংলা। বিষমদ খেয়ে প্রায় বাংলাতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়। আর সেই ঘটনায় অবশেষে দোষী সাব্যস্ত করা হল মূল অভিযুক্ত নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে। দীর্ঘ ১০ বছর
একটা সময় সংগ্রামপুর বিষমদ-কাণ্ডের ঘটনাতে কার্যত নড়ে গিয়েছিল গোটা বাংলা। বিষমদ খেয়ে প্রায় বাংলাতে ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়। আর সেই ঘটনায় অবশেষে দোষী সাব্যস্ত করা হল মূল অভিযুক্ত নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশাকে। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলে।
আজ শনিবার এই মামলাতে দোষী সাব্যস্ত করা হল খোঁড়া বাদশাকে। একাধিক ধারাতে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়। সেই মতো খুন, গুরুতর ক্ষতি করা সহ ৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে ঘটনার মূল অভিযুক্তকে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে আরও একটি মামলাতে দোষী আজীবন সাজা প্রাপ্ত হয়েছে খোঁড়া বাদশার। আরও একটি মামলাতেও দোষী সাব্যস্ত হলেন নুর ইসলাম ফকির তবে এই মামলাতে তাঁর স্ত্রী সহ সাত অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে সে ভাবে কোনও প্রমাণ না পাওয়াতেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়।
তবে আজ শনিবার দোষী সাব্যস্ত করা হলেও খোঁড়া বাদশার বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সাজা ঘোষণা করা হবে সোমবার। আলিপুরের ষষ্ঠ দায়রা বিচারক মগরাহাটের মামলায় খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন।
এই বিষয়ে সরকারি আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই দোষীরা শাস্তি পাক এমন প্রার্থনা আদালতের কাছে জানানো হয়েছিল। আদালত সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখার পর বিষমদ কাণ্ডে খোঁড়া বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন বিচারক। তবে বাকিরা বেকসুর খালাস ঘোষণা করা হয়েছে। সাক্ষ্য প্রমানের অভাবে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি বলে দাবি সরকারি আইনজীবী।
তবে এই মামলাতে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০১১ সালের বিষমদ-কাণ্ডের ঘটনাতে নড়ে যায় গোটা বাংলা। এই ঘটনাতে ১৭৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শুহদু তাই নয়, বিষমদ খেয়ে অনেক মানুষ শারীরিক ভাবে অক্ষম হয়ে যান।
এখনও তাঁদের শারীরিক অবস্থা বেশ কয়েকজনের খারাপ। মগরাহাট, উস্তি-সহ ডায়মন্ড হারবার মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মগরাহাট এবং উস্তি থানাতে দু'টি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্বভার যায় সিআইডি-র হাতে।
তদন্তে উঠে আসে নুর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশার মদের কারবার থেকেই মূলত এই মদ সব জায়গাতে ছড়িয়ে পড়ে। একটি মামলাতে আগে সাজা প্রাপ্ত হয়েছে বাদশা। এবার আরও একটি মামলাতে চূড়ান্ত সাজা ঘোষণা করতে চলেছে আদালত।