দেহ সৎকারের পরেই বাড়িতে হাজির প্রৌঢ়! জলপাইগুড়িতে চাঞ্চল্য
একদিন আগেই বাবার দেহের সৎকার হয়েছে। বাড়িতে সবাই শোকে মূহ্যমান। শ্রদ্ধানুষ্ঠানের জন্য পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন দুই ছেলে। বাড়িতে খবর যায় বাজারেই ঘুরতে দেখা গিয়েছে ওই ব্যক্তিকে।
একদিন আগেই বাবার দেহের সৎকার হয়েছে। বাড়িতে সবাই শোকে মূহ্যমান। শ্রদ্ধানুষ্ঠানের জন্য পরিবারের বাকি সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছিলেন দুই ছেলে। ইতিমধ্যেই বাড়িতে খবর এল বাজারেই ঘুরতে দেখা গিয়েছে মৃত ব্যক্তিকে। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকায়।
জলপাইগুড়ির ক্রান্তির রাজডাঙা গ্রামে বাড়ি গিরেন রায়ের। বছর কয়েক ধরে মাথা খারাপ তাঁর। বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে কোনও রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন, আবার কোনও রাতে ফেরেন না। এহেন অবস্থাতেই শুক্রবার সকালে মালবাজারের ওদলাবাড়ি বাজারের কাছে এক প্রৌঢ়া দেহ উদ্ধার হয়। গিরেন রায়ের দুই ছেলে সঞ্জিত রায় (২৭) এবং বিশ্বজিৎ রায়( ২৪) গিয়ে দেহটি তাঁদের বাবার বলে শনাক্ত করেন। দেহের ময়নাতদন্তের পর সৎকারও করা হয়ে যায় শুক্রবার।
এরপরেই ঘটে যায় অন্য ঘটনা। শনিবার স্থানীয় মানুষ দেখতে পান গিরেন রায় বাজারে ঘুরছেন। খবর যায় রায় বাড়িতে। পরিবারের সদস্যরাও হতবাক। যে ব্যক্তির সৎকাজ হয়ে গেল, সেই ব্যক্তিই কী ভাবে ফিরে এল, সেই চিন্তাও অনেকের মাথায় ঘুরতে থাকে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই গিরেন রায়কে দেখতে ভিড় করেন স্থানীয়রা। তাঁদের এবং পরিবারের দাবি, দুজনের চেহারা একই রকমের। সেই থেকেই ভুল হয়েছে। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সুজিত কুমার ঘোষও পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় মানুষের সঙ্গে একতম। দুজনের চেহারা মিল থাকাতেই কেউই বুঝতে পারেননি!