তৃণমূল নেত্রী কেন লেখেন না 'সততার প্রতীক', ফাঁস করলেন জয়প্রকাশ! 'বাংলার গর্ব মমতা'কে আক্রমণ
বাম শাসনকালে দেওয়া উজ্জ্বল ছিল সততার প্রতীক মমতা। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে তা আর দেওয়ালে দেওয়ালে দেখা যায় না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেই স্লোগান অনেক আগেই ত্যাগ করেছে তৃণমূল।
বাম শাসনকালে জোরালো ছিল সততার প্রতীক মমতা স্লোগান। সেই স্লোগানে দেওয়াল ভরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে তা আর দেওয়ালে দেওয়ালে দেখা যায় না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেই স্লোগান অনেক আগেই ত্যাগ করেছে তৃণমূল। সোমবার থেকে তৃণমূলে যুক্ত হয়েছে নতুন ট্যাগ লাইন 'বাংলার গর্ব মমতা'। এই দুটি বিষয়কে একসঙ্গে করেই কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার।
সততার প্রতীক
একসময়ে বাংলার দেওয়াল জুড়ে জ্বলজ্বল করত সততার প্রতীক লেখাটি। কিন্তু এখনও তা আর দেখা যায় না। তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার বছর দুইতিন পরেও সেই শব্দবন্ধ দেখা গেলেও এখন তার আর দেখা পাওয়া যায় না। যা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে বিরোধী মহলে। একটা সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যেত সিপিএম নেতাদের কথা। একটা বিড়ি তিনবার খেতেন তারা। আর তাঁদের বাড়ি, গাড়ির কথা। যদিও এই সময় মাঝারি থেকে উঠতি তৃণমূল নেতা এসইউভিব ছাড়া চলতে পারেন না। সেই টাকা কোথা থেকে আসছে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী নেতারা।
বাংলার গর্ব মমতা
সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের নতুন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। নাম বাংলার গর্ব মমতা। যাকে দিদিকে বলোর দ্বিতীয় ভাগও বলা হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে ৭৫ দিনে ৭৫ হাজারের বেশি দলীয় নেতা-কর্মী সারা বাংলার ২.৫ কোটি মানুষের কাছে যাবেন। এই কর্মসূচি প্রশান্ত কিশোরেরর মস্তিস্কপ্রসূত।
তৃণমূলে ভাড়াটে সৈনিক
তৃণমূলে প্রশান্ত কিশোরের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন জয়প্রকাশ। তিনি বলেছেন, অধঃপতনের ফলেই ভাড়াটে সৈনিক নামাতে হয়েছে। বিজেপির ঝড় আটকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পিকের কাছে গিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
কটাক্ষ জয়প্রকাশের
সততার প্রতীক আর বাংলার গর্ব মমতা, এই দুটি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি বলেছেন মমতা এখনও আর সততার প্রতীক নন, সারদার প্রতীক। তাই তিনি আর ওই কথা লেখেন না। ঠিক একইরকম ভাবে বাংলার গর্ব মমতা ট্যাগ লাইনও মাঠে মারা যাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কটাক্ষ করে জয়প্রকাশ মজুমদার বলেছেন, বাড়ির শিশুরাও বাংলার গর্ব মমতা হললে বিশ্বাস করবে না।
তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস হিন্দু বিরোধী
জয়প্রকাশ মজুমদারের অভিযোগ, বাংলায় তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস হিন্দু বিরোধী। সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কের কথা ভেবেই তারা সিএএ এবং এনআরসির বিরোধিতা করছে।
শান্তিতে পুরভোট হবে তো, সংশয়ে জয়প্রকাশ
২০১৮-তে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল হিংসার মধ্যে দিয়ে। তাই এবারের পুরভোট শান্তিতে হবে তো, সংশয় প্রকাশ করেছেন জয়প্রকাশ মজুমদার। তিনি প্রশ্ন করেন, পুলিশ আর তৃণমূলের বাহিনী সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেবে তো।