খড়গপুর আইআইটি-র ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের রহস্য-মৃত্যু, দেহ উদ্ধার রেল লাইনে
ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে খড়গপুর আইআইটি-র তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য। এই মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা, নারি নিছকই একটা দুর্ঘটনা তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৭ জানুয়ারি : ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে খড়গপুর আইআইটি-র তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুকে ঘিরে ঘণীভূত হচ্ছে রহস্য। এই মৃত্যু খুন নাকি আত্মহত্যা, নারি নিছকই একটা দুর্ঘটনা তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। রবিবার রাতে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জকপুর ও মাধপুর স্টেশনের মাঝে এই ঘটনা ঘটে। রবিবার ওই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু পরিচয় জানা যায় সোমবার রাতে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম লোকেশ মিনা। তিনি খড়গপুর আইআইটি-র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। বাড়ি রাজস্থানের ধাসা জেলার দিঘেরিয়া গ্রামে। সোমবার লোকেশের বাবা ছেলের দেহ শনাক্ত করেন। রেল পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক তদন্ত মনে করা হচ্ছে, ওই ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছেন। ট্রেনের গার্ড ও চালককে জিজ্ঞাসা করে জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে, কী কারণে এই ঘটনা।
খড়গপুর আইআইটি-র রাধাকৃষ্ণান হলে থাকতেন লোকেশ। রবিবার থেকে তাঁকে আইআইটি ক্যাম্পাস খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। চারদিকে খোঁজাখুঁজির পর ওয়ার্ডেনকে জানানো হয়েছিল বিষয়টি। ওই রাতে তাঁকে খুঁজে না পাওয়ার পর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। শিক্ষক ও বন্ধু-বান্ধবদের কথায়, কোনও অস্বাভাইবকতা লক্ষ্য করা যায়নি তার মধ্য।
কেন শুধু শুধু আত্মঘাতী হবে লোকেশ? এই প্রশ্নও উঠে পড়েছে। তবে লোকেশ দীর্ঘদিন ফ*উসফউসের সংক্রমণে ভুগছিলেন। সে কথা তদন্তকারীদের জানিয়েছেন লোকেশের বাবা রামপাল মিনা। শারীরিক অসুস্থতার কারণে অবশ্য তাঁকে মাঝেমধ্যেই মানসিক অবসাদে থাকতে দেখা যেত।
তবু অন্যান্য কারণ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। আত্মহত্যা ছাড়াও এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না তা জানতে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছেন আইআইটি কলেজের তাঁর সহপাঠীদেরও। পাশাপাশি কোনও সুইসাইড নোট পাওয়া যায় কি না, তাও জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।