শ্বশুরবাড়ি এসে পড়শি বধূর প্রেমে হাবুডুবু জামাই! ‘পরকীয়া’য় ধরা পড়ে যা হাল হল যুগলের
শ্বশুরবাড়িতে ‘পরকীয়া’ জামাইয়ের! ধরা পড়ে যা হাল হল
শ্বশুরবাড়িতে এসে প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে 'পরকীয়া'য় মজেছিলেন জামাই। তা নিয়ে কম অশান্তি হয়নি দুই সংসারে। তা সত্ত্বেও ঘনঘন শ্বশুরবাড়ি এসে পরকীয়া চালিয়ে যেতেন তিনি। শেষমেশ হাতেনাতে ধরা পড়ে শোচনীয় হাল হল প্রেমিক-প্রেমিকার। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে জোর শোরগোল পড়ে গেল, পাশের বাড়ির বউয়ের সঙ্গে বিয়ে হচ্ছে জামাইয়ের।
মেয়ের কপাল পুড়িয়ে প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গেই বিয়ে হয়ে গেল প্রশান্ত দলুই নামে যুবকের। শ্বশুরবাড়ি এসে প্রায়শই গোপন 'অভিসারে' দেখা যেত জামাইকে। পাশের বাড়ির গৃহবধূর সঙ্গে হয় সন্ধ্যেবেলায় একাকী গল্প করছেন, কখনও ভোরবেলা দুজনে একসঙ্গে। এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দুজনকেই সাবধান করা হয়েছিল। কিন্তু কেউই কর্ণগোচর করেনি সে কথা।
শুক্রবার রাতে তাঁরা ফের গোপনে মিলিত হয়েছিল। বেশ চলছিল পরকীয়া। কিন্তু সেই গোপন কথা যে কখন কীভাবে প্রকাশ হয়ে গিয়েছে, তা তারা বুঝতেও পারেনি। একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে গিয়েছিল তারা। ব্যস, আর কে দেখে। তাদের একেবারে বিয়ে দিয়ে ছাড়ল স্থানীয় গ্রামবাসীরা। সালিশি সভা বসিয়ে গৃহবধূর সঙ্গে জামাইয়ের বিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর স্থানীয় মন্দিরে নিয়ে গিয়ে বিয়ে।
দাসপুরের দানীকলা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি প্রশান্ত দোলুইয়ের। তাঁর এক সন্তানও রয়েছে। শ্বশুরবাড়ি আসার সুবাদেই তাঁর আলাপ প্রতিবেশী গৃহবধূর সঙ্গে। তাঁরও স্বামী-দুই সন্তান রয়েছে। কিন্তু উভয়ের আলাপচারিতা ক্রমেই অন্তরঙ্গতায় রূপ নেয়। যোগাযোগ বাড়ে, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাধা-বিপত্তি সত্ত্বেও বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যেতে থাকে তাঁরা। তার পরিণতিতে শেষপর্যন্ত বিয়ে দুই বিবাহিত পুরুষ-মহিলার।