বিস্তারিত জানানো কর্তব্যের মধ্যে পড়ে! সংবিধানের ধারা মনে করিয়ে মমতাকে চিঠি রাজ্যপাল ধনখড়ের
পেগাসাস ইস্যুতে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে নবান্ন এবং রাজভবনের মধ্যে। গত কয়েকদিন ধরে পেগাসাস ইস্যুতে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। তবে আজ সোমবার নতুন করে সংঘাত চরমে। সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখল
পেগাসাস ইস্যুতে নতুন করে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে নবান্ন এবং রাজভবনের মধ্যে। গত কয়েকদিন ধরে পেগাসাস ইস্যুতে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। তবে আজ সোমবার নতুন করে সংঘাত চরমে। সংবিধানের ধারা উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
আর সেই তথ্য নিজেই সোশ্যাল মিডিয়াতে জানালেন সাংবিধানিক প্রধান। পেগাসাস নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন সে বিষয়েই মুলত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
গত কয়েকমাস আগে পেগাসাস কান্ড সামনে আসে। একাধিক ব্যক্তির ফোনে গোপনে আড়ি পাতা হয়েছে বলে অভিযোগ। সেই তালিকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রশান্ত কিশোরের নামও জড়িয়ে যায়। এমনকি খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন যে, তাঁর ফোনেও আড়ি পাতা হয়েছে।
আর এরপরেই তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতির নির্দেশে এই কমিশন গঠন করা হয়। যদিও এই কমিশন নিয়ে শুরু হয়েছে একের পর এক বিতর্ক। আর এই তদন্ত কমিশন নিয়েই গত কয়েকদিন আগে তথ্য তলব করেন রাজ্যপাল ধনখড়।
এই বিষয়ে কোনও তথ্যই তাঁকে বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও তা দেওয়া হয়নি। তিনি অভিযোগ করেন, গত ২৬ জুলাই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। অথচ এ বিষয়ে তাঁকে কোনও কিছুই জানানো হয়নি। তদন্ত কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে রাজ্যপালের মতামতও নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন। আর তা নিয়েই সংঘাত চরমে।
আর এই বিষয়ে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি। লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হলে তিনি তা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর এখানেই সংবিধানের ধারাকে তুলে ধরে রাজ্যপাল বলেন, রাজ্যপালকে বিস্তারিত জানানো কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। কিন্তু এখানে তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁর।
রাজ্যপাল-নবান্ন সংঘাত নতুন কিছু নয়। একাধিক ইস্যুতে বারবার রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ভোট পরবর্তী হিংসা সহ জিটিএ নির্বাচন না হওয়া প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকি বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগ কোনও কিছুতেই তাঁকে নথি দেওয়া হয়না।
সংবিধানকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নবান্ন চলে বলেও অভিযোগ তাঁর। আর সেখানে দাঁড়িয়ে এবার ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন করা নিয়ে নয়া সংঘাত তৈরি হল। তবে এদিনের রাজ্যপালের কড়া চিঠি আরও পইস্থিতিকে জটিল করবে বলে মনে করা হচ্ছে।