চারের বদলা চার! রাজ্যপালের পাল্টা পত্রাঘাত তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে পদের অপব্যবহার নিয়ে চার পাতার চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা চার পাতার পত্রাঘাত করলেন রাজ্যপাল।
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে পদের অপব্যবহার নিয়ে চার পাতার চিঠি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পাল্টা চার পাতার পত্রাঘাত করলেন রাজ্যপাল। তৃণমূল সাংসদকে তিনি কড়া প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থতা ঢাকতেই আক্রমণের এইসব কৌশল সামনে আনছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যপাল এদিন ডেরেক ও'ব্রায়েনকেও একহাত নেন তাঁর কেন্দ্রীয় দলকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য। তাঁর এই পর্যবেক্ষণের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মনে করেন রাজ্যপাল। কেন্দ্রীয় দল বাংলায় 'অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম'-এ এসে 'রাজনৈতিক ভাইরাস ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছিলেন ডেরেক। তা নিয়েও উষ্মাপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল।
এদিন কল্যাণ চার পাতার চিঠি দিয়ে রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে বলেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় তাঁর সাংবিধানিক প্রধানের পদকে হেয় করছেন। নিজে একজন রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করছেন। তারপরই পাল্টা চার পাতার চিঠিতে জবাব দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
Sent Response @KBanerjee_AITC to his media circulated letter. A strategy to cover up monumental Covid 19 failures is unfolding.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) April 28, 2020
Regret observations @derekobrienmp -ICMT on ‘adventure tourism’ to ‘spread political virus’ ICMT visit a +ve turning point. pic.twitter.com/yO4AwGFopP
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, রাজ্যপাল পদে পদে প্রমাণ করে দিচ্ছেন তিনি বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। আচরণ করছেন একজন রাজনৈতিক নেতার মতো। তিনি ভুলে গিয়েছেন তিনি বসে আছেন একটা রাজ্যের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে। সেই পদে সবথেকে বড় বৈশিষ্ট্য হল নিরপেক্ষতা। কিন্তু তার লেশমাত্র ভাগ নেই তাঁর কথায়। পাল্টা রাজ্যপাল বলেছেন, রাজ্য সরকার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে এবং লকডাউনকে মান্যতা দিতে ব্যর্থ। তাই এইসব কথা বলে দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।