জিটিএ নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত মোর্চার, কোন পথে পাহাড়ের ভবিষ্যৎ
জিটিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে আগেই, এবার পরবর্তী জিটিএ নির্বাচন বয়কট করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। শুধু মোর্চাই নয়, পাহাড়ের কোনও দলই জিটিএ নির্বাচনে লড়বে না। পাহাড়ের সমস্ত রাজনৈতিক দলই জিটিএ নির্বাচন বয়কট করে রাজ্যকে বার্তা দিতে চাইছে। সেইসঙ্গে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে পাহাড় যে এককাট্টা সেই ছবিও তুলে ধরতে চাইছে মোর্চা।
একদিন বনধ শিথিলের পরই পা্হাড়ের আন্দোলন তীব্রতর হয়েছে মঙ্গলবার থেকে। তা আরও তীব্রতর করতে উঠে পড়ে লেগেছে গোর্খা জনমু্ক্তি মোর্চা। এদিন পিঠে টিউবলাইট ভেঙে দার্জিলিংয়ের ৪৫ জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে জিটিএ চুক্তি পোড়ানো হয়েছে।
এবার পাহাড় আন্দোলন আরও তীব্রতর করতে দ্বিতীয় পদক্ষেপ হিসেবে জিটিএ নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাহাড়কে এই ইস্যুতে একজোট করাই মূল লক্ষ্য মোর্চার। পাহাড়ে নির্বাচন বয়কটের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মোর্চা আন্দোলন আরও ঝাঁঝালো করতে উঠে পড়ে লেগেছে।
এদিকে রাজ্যের তৃণমূল সরকার পাহাড়ে মোর্চার আধিপত্যে থাবা বসাতে চাইছে। পাহাড়ে যে মোর্চার আগের সেই একাধিপত্য আর নেই, তা স্পষ্ট। আন্দোলন যত এগোচ্ছে ততই দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাচ্ছে। আর ঘুরে দাঁড়াতে আন্দোলন তীব্রতর করছে মোর্চা।
দার্জিলিং জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি গৌতম দেব বলেন, 'মোর্চা আগুন নিয়ে খেলছে। বিমল গুরুং-রা যা করছে সেটা আন্দোলনের ভাষা নয়। গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো ভেঙে দেওয়ার খেলা শুরু করেছে মোর্চা। এটা ঠিক পথ নয়, মোর্চা শান্তির পথে ফিরে আসুন।'