রসদে টান পড়েছে, মোর্চার সর্বদলীয় বৈঠকে পাহাড় বনধে মিলতে পাড়ে ছাড়
চাপ বাড়ছে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের। তিনি যতই বলুন, যত প্রাণ যায় যাবে, পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে তাঁরা একচুলও সরবেন না। কিন্তু মোর্চার উপরও চাপ আসছে।
পাহাড়ে স্বস্তি মিলতে পারে আসন্ন সর্বদলীয় বৈঠকে! কিছু ক্ষেত্রে শিথিল হতে পারে পাহাড় বনধ। বিশেষ করে ব্যাঙ্কিং সেক্টরকে বনধের আওতার বাইরে রাখা হতে পারে। এমনই পরিকল্পনা রয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার। মঙ্গলবার পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড মুভমেন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির ডাকে সর্বদল বৈঠক খুশির খবর আনতে পারে পাহাড়বাসীর জন্য।
পাহাড়ের মানুষের রসদ ফুরিয়েছে। আন্দোলনেও তাই ঝাঁঝ উধাও। ফলে চাপ বাড়ছে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের। তিনি যতই বলুন, যত প্রাণ যায় যাবে, পৃথক রাজ্যের দাবি থেকে তাঁরা একচুলও সরবেন না। কিন্তু মোর্চার উপরও চাপ আসছে। আর কতদিন চলবে এইভাবে! এবার টান পড়েছে খাবারেই। পেটে টান পড়লে কি পাহাড়বাসী ক্ষমা করবেন গুরুংকে?
মাসাবধিকাল ধরে পাহাড়ে বনধ চলছে। অচল হয়ে গিয়েছে পাহাড়। পর্যটন শিল্প তো মার খাচ্ছেই, ভেঙে পড়েছে পাহাড়ের অর্থনীতি। পাহাড়বাসীরও পকেটে টানা পড়েছে। সেই কারণেই ইতিমধ্যে বৈঠক এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোর্চা। মঙ্গলবারের বৈঠকে বনধের আওতা থেকে অন্তত সাতদিন ব্যাঙ্ককে বাইরে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এদিকে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার চায় পাহাড়বাসীর কাছে খাদ্য পৌঁছক। তাই তিনি মোর্চার উদ্দেশ্যে আবেদন করেন, বনধ তুলে পাহাড়বাসীর জন্য রসদ নিয়ে যেতে। অভিযোগ, পুলিশ গাড়ি আটকাচ্ছে। সেই কারণেই পাহাড়বাসীর কাছে খাদ্য পৌঁছচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে গৌতমবাবুর ব্যাখ্যা, কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ গাড়ি আটকাচ্ছে ঠিকই, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে তা করতে হচ্ছে বাধ্য হয়ে।
তিনি বলেন, আসলে পাহাড়ে বনধের জন্যই গাড়ি ঢুকতে পারছে না। বনধ তুলে নিলেই রসদ ঢুকে যাবে পাহাড়ে। গৌতমবাবু চান, খাবার যেন সবার কাছে পৌঁছয়। এদিন তিনি ফের মোর্চাকে আলোচনার পথে ফিরতে আবেদন করেছেন। রাজ্য আলোচনার পথ এখনও খোলা রেখেছে বলে জানান তিনি।