মুকুল রায়ের সম্ভাব্য গন্তব্য বিজেপি, কিন্তু তাতেই 'আতঙ্ক' বর্তমান নেতৃত্বের একাংশের
নতুন দলে নয়, মুকুল রায়ের সম্ভাব্য গন্তব্য বিজেপি। দলে তাই নতুন নেতার জায়গা নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের অন্দরে।
নতুন দলে নয়, মুকুল রায়ের সম্ভাব্য গন্তব্য বিজেপি। দলে তাই নতুন নেতার জায়গা নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের অন্দরে। সূত্রের খবর, আনন্দের থেকে বেশি আতঙ্ক গ্রাস করছে ক্ষমতাসীন নেতৃত্বকে।
মুকুল রায়ে জানিয়েছিলেন পুজোর পরে নতুন দল কিংবা দলবদল নিয়ে সব কিছু জানাবেন। হয়ত দিন তিন-চারের মধ্যে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট হয়ে যাবে। মুকুল রায়কে দলে টানার বিষয়টি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব নয়, দেখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তবুও এক সিনিয়র নেতার নতুন দলে যোগ দেওয়া, নতুন সদস্য পদ নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই রাজ্য বিজেপির অন্দরমহলে। যদিও সামনে থেকে কিছুই বলছেন না তাঁরা।
অমিত শাহ একাধিকবার রাজ্য সফর করেছেন। আগের রাজ্য সফরে এসে সদস্য সংখ্যা কিংবা জেলায় জেলায় প্রভাব বিস্তার, তার কোনওটির ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। ফলে জোর দেওয়া হচ্ছে অন্য দল থেকে আসা নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপরেই।
সেখান থেকে মুকুল রায়কে দলে পেলে রাজ্যের সংগঠনের ফাঁকফোকর অনেকটাই বোজাতে পারবে দল, এমনটাই মনে করছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেননা এখনও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের যে সংগঠন, সেই সমস্ত কর্মীদের নামে চেনেন মুকুল রায়। মুকুল রায় বিজেপি যোগ দিলে তাঁদের বেশিরভাগই যে সেখানেই যাবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর বুধবারই মুকুল রায় নিজের মুখে বলেছেন বিজেপি সাম্প্রদায়িক নয়। তৃণমূলের জন্মের পর থেকে বেশ কয়েক বছর বিজেপিকে ভর করেই এগিয়েছে। এমনটাই বলেছেন মুকুল রায়। ফলে সংখ্যালঘু নেতা-কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই মুকুল রায়কে সঙ্গ দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
ফলে মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিলে তার বহর কত হবে সেই নিয়েই চিন্তাভাবনায় মগ্ন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের একাংশ। সামনে প্রকাশ না করলেও, নিজেদের আলাপচারিতায় তাঁরা বলছেন, দলে এলে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরে নিজের লোক বসাতে চাইবেন মুকুল রায়। সেক্ষেত্রে এতদিন বিজেপিতে থাকা নেতা-নেত্রীরা কোন জায়গা পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে সেক্ষেত্রে কোনও বিতর্ক উঠলে দায়িত্ব যে কেন্দ্রীয় নেতৃ্ত্ব সামলাবে তা অকপটে বুঝিয়ে দিচ্ছেন 'চিন্তিত' এ রাজ্যের নেতারা।