বিয়ে হলে কি সবুজ সিঁদুর পড়বেন, মমতাকে কটূক্তি আনিসুরের
লোকসভা ভোটের প্রচারে এই জনসভার আয়োজন করেছিল সিপিএম। ভাষণ দিতে গিয়ে আনিসুর রহমান বলেন, "আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সব রং পাল্টে দিচ্ছেন। লাল রং দেখলেই সবুজ করে দিচ্ছেন। রাইটার্স বিল্ডিংসের রং পাল্টে দিতে চেয়েছিলেন। লাল রং ওঁর অসহ্য। আমি ঠাট্টা করে সেইদিন বলছিলাম, দিদিমণির তো এখনও বিয়ে হয়নি। যদি কখনও বিয়ে হয়, তা হলে কি সবুজ রঙের সিঁদুর পড়বেন? কিন্তু, সবুজ রঙের সিঁদুর যে এখনও চালু হয়নি দিদিমণি। তা আপনি হয়তো আইন করে সবুজ রঙের সিঁদুর পড়া বাধ্যতামূলক করবেন।"
প্রসঙ্গত, এই ঘটনায় সিপিএম কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি। কিন্তু কড়া নিন্দা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেতা তথা পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরদাহ হাকিম বলেছেন, "যাদের সংস্কৃতি নেই, কৃষ্টি নেই, তারাই এমন কথা বলতে পারে। সিপিএমের যে কোনও সুস্থ রুচি নেই, আবার প্রমাণিত হল।" বুদ্ধিজীবী মীরাতুন নাহার, শাশ্বতী ঘোষ প্রমুখ এই বক্তব্যের নিন্দা করেছেন।
এটাই প্রথম নয়। এর আগেও আনিসুর রহমান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর রায়গঞ্জে একটি জনসভায় তিনি বলেছিলেন, "হ্যালাফ্যালা মেয়েদের উনি কোলে করে নিয়ে আসেন, ধর্ষিতা হয়েছে বলে। যেমন এনেছিলেন চম্পলা সর্দারকে। আনতে হলে ভালো দেখতে মেয়েদের নিয়ে আসুন। আর আপনার মতো ভালো মেয়ে কোথায় আছে! আপনি বলেছেন, ধর্ষিতা মেয়েদের ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবেন। কোনও মেয়ে ধর্ষিতা হলে তাকে সান্ত্বনা দিতে হয়, সহানুভূতি জানাতে হয়। আর আপনি ক্ষতিপূরণ দেবেন বলছেন! তা আপনি যদি ধর্ষিতা হন, কত টাকা নেবেন? আপনার ফি কত দিদিমণি?"
সেই সময় রাজ্য জুড়ে নিন্দার ঝড়া ওঠে। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসুরা নির্দেশ দেন ক্ষমা চাওয়ার। চাপের মুখে পড়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছিলেন আনিসুর রহমান। কিন্তু তিনি যে সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেননি, তা ফের প্রমাণ হল।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাজনীতিতে মতাদর্শগত পার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু তা বলে এমন নোংরা মন্তব্য কোনও দলের কোনও নেতার মুখেই শোভা পায় না।