বিয়ের পরও প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক, শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে যুগলে আত্মঘাতী
বিয়ের পরও ছেদ হয়নি প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক। শেষমেশ বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ। জঙ্গলের মধ্যে দু’জনের দেহ পড়েছিল। পাশ থেকে উদ্ধার হয় বিষের প্যাকেট।
বাঁকুড়া, ২০ ফেব্রুয়ারি : বিয়ের পরও ছেদ হয়নি প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্ক। শেষমেশ বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে আত্মঘাতী হলেন গৃহবধূ। রবিবার রাতে যুগলের দেহ উদ্ধার হয় বাঁকুড়ার কুকুরিবাসা থেকে। জঙ্গলের মধ্যে দু'জনের দেহ পড়েছিল। পাশ থেকে উদ্ধার হয় বিষের প্যাকেট। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিষ খেয়েই আত্মহত্যা করেছেন যুগলে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতদের নাম প্রিয়াঙ্কা কুন্ডু ও সঞ্চয়ন পাত্র।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন গৃহবধূ প্রিয়াঙ্কা। তিনদিন পর কুকুরিবাসার একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় ওই গৃহবধূ ও তাঁর প্রেমিকের দেহ। ওই গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোক দেহ শনাক্ত করে। তারপরই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দুই দেহ। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশের অনুমান বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণেই এই জোড়া আত্মহত্যা।
ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ি পুরুলিয়ার দেবগ্রামে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সঞ্চয়নের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল বিয়ের আগে থেকেই। বাঁকুড়ার ছতনা গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পরও প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তাঁর। শ্বশুরবাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর একবছর যাবৎ তাঁদের কোনও সন্দেহ হয়নি। এক বছর পর থেকেই আবার প্রেমিকের সঙ্গে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগান ওই গৃহবধূ। তাঁদের মধ্যে যোগাযোগ তৈরি হয়। শেষমেশ এই পরিণতি।
ছাতনা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছিল। কিন্তু তিনদিন কোনও হদিশ পায়নি পুলিশ। পুলিশের অনুমান, নিখোঁজ হওয়ার দিনই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। মৃত যুবকের বাড়িতেও খবর পাঠানো হয়। ময়নাতদন্তের পরই স্পষ্ট হবে তাঁদের মৃত্যুর কারণ।