বামনেতাকে অভিভাবক মানলেন দিলীপ, উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সটান প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি
বামনেতাকে অভিভাবক মানলেন দিলীপ, উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে সটান প্রাক্তন মন্ত্রীর বাড়ি
সিএএ-র সপক্ষে অভিনন্দন যাত্রায় বেরিয়ে সটান বামফ্রন্ট জমানার মন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়লেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে আরএসপি নেতা তথা বামফ্রন্ট সরকারর মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে অভিভাবক মানলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দুই নেতার সাক্ষাতকে কেন্দ্র করে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে।
বাম আমলের মন্ত্রীর বাড়িতে দিলীপ
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নিত্য প্রাতঃভ্রমণের অভ্যাস। বালুরঘাটে এসে তার অন্যতা হয়নি। তিনি এদিন বালুরঘাটে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়েই মনস্থ করেন বর্ষীয়ান আরএসপি নেতা বিশ্বনাথ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করার। তৎক্ষণাৎ তিনি ছোটেন প্রাক্তনমন্ত্রীর বাড়িতে। সেখানে দুই নেতার মধ্যে আলাপচারিতা হয়।
মতাদর্শে উল্টো, মিল মনে
দিলীপবাবু বলেন, মতাদর্শের দিক দিয়ে উল্টো মেরুতে থাকলেও বিশ্বনাথদা আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক। তাঁর রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে আমরা সম্পৃক্ত হই। নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল আমাদের। দীর্ঘদিন বিশ্বনাথদার সঙ্গে দেখা হয়নি। বালুরঘাটে আছি যখন, তখন একবার দেখা করার ইচ্ছা হল।
দিলীপবাবুর আগমনে অবাক স্থানীয়রা
এদিকে বিশ্বনাথ চৌধুরীর বাড়িতে দিলীপবাবুর আগমনে অবাক স্থানীয়রা। দিলীপ ঘোষ সেসবকে আমলই দিলেন না। চুটিয়ে আড্ডা দিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, বিশ্বনাথ চৌধুরী হলেন এমন একজন রাজনীতিক, যিনি ২৫ বছর মন্ত্রী ছিলেন, ৪০ বছর বিধায়ক।
বিশ্বনাথের গড়ে এখন বিজেপির রাজ
দিলীপ বলেন, ৩৪ বছর এই বিধানসভা কেন্দ্রটি বিশ্বনাথ চৌধুরীর দখল ছিল। এখন বালুরঘাট লোকসভা বিজেপির দখলে। বিশ্বনাথবাবুর কাছে তিনি আশীর্বাদ নিতে এসেছিলেন। কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। নিতান্তই ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে আসা। একই কথার পুনরাবৃত্তি বিশ্বনাথ চৌধুরীর কণ্ঠেও।
শুভেন্দু গড়ে শক্তিবৃদ্ধি তৃণমূলের, দলবদল নিয়ে বিজেপি ছাড়লেন 'বিতর্কিত’ নেতা