রীতেশ-জয়প্রকাশ সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর মুখ খুললেন দিলীপ, কী বার্তা দিলেন তিনি
দলের সাংগঠনিক রদবদলের পর থেকেই বিজেপির অন্দরে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন একের পর এক নেতা-নেত্রীরা। এবারের রদবদলের পর প্রথম বিদ্রোহ শুরু হয় মতুয়া-গড় থেকে। তারপর সেই বিদ্রোহে শামিল হন রীতেশ-জয়প্রকাশরা।
দলের সাংগঠনিক রদবদলের পর থেকেই বিজেপির অন্দরে বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। বিদ্রোহী হয়ে উঠছেন একের পর এক নেতা-নেত্রীরা। এবারের রদবদলের পর প্রথম বিদ্রোহ শুরু হয় মতুয়া-গড় থেকে। তারপর সেই বিদ্রোহে শামিল হন রীতেশ-জয়প্রকাশরা। দলবিরোধী কাজের জন্য এরপর রীতেশ-জয়প্রকাশকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে বিজেপি।
রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমজারকে বরখাস্তের পরে বিজেপিতে তুমুল দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। বিজেপি আড়াআড়ি বিভাজিত এই ইস্যুতে। দলের এই সংকটমুহূর্তে রীতেশ-জয়প্রকাশকে নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি কার্যত দলের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দিলেন। ঠিক কী বললেন তিনি?
বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে এই সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত। এরপর এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, প্রত্যেক দলের একটা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি রয়েছে। সেই শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি দলের কোনও কর্মীর আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই পারে। সেই মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দিলীপ ঘোষ বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, দল তাঁদের শোকজ করেছে। তারপর তাঁদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। যাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দল, তাঁরা যথাসময়ে যথাযোগ্যভাবে উত্তর দেবেন। তবে দলের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্তের পর কার্যত বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন দুই নেতা।
রীতেশ তিওয়ারি সরাসরি বলেন, তাঁদের জবাবে অপেক্ষা না করে যেভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তা থেকেই প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করা হয়েছে। এরা তৃণমূলের বি-টিম হয়ে কাজ করছেন। এমন সময় আসবে তাঁদের কাছে ক্ষমা চেয়ে বিজেপিকে তাঁদের ফিরিয়ে নিতে হবে। আর জয়প্রকাশ মজুমদার যা উত্তর দেওয়ার সংবাদিক বৈঠক করে দেবেন বলে জানিয়েছেন।
Recommended Video
বিজেপির সাংগঠনিক রদবদলের পর মতুয়া-গড়ের পাঁচ বিজেপি বিধায়ক হোটাসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে প্রতিবাদী হন। তারপর সেই প্রতিবাদকে বিদ্রোহের রুপ দেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বিদ্রোহীদের এক করে বিজেপির বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। তাদের তৃণমূলের দালাল বলে পোস্টারও পড়ে। তাঁদের এই বিদ্রোহে শামিল হন নয়া রদবদলে বিজেপিতে ব্রাত্য জয়প্রকাশ মজুমদার, রীতেশ তিওয়ারি, সায়ন্তন বসুরা। তার মধ্যে রীতেশ তিওয়ারি ও জয়প্রকাশ মজুমদারকে শোকজের পর সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।