আবাসনের গণ্ডগোলে ডাক্তারকে মারধর, ফের বিতর্কে সোনালি গুহ
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই ফ্ল্যাটে থাকেন বেদপ্রকাশ তিওয়ারি নামে এক ব্যক্তি। তিনি তৃণমূল নেত্রী সোনালি গুহের ঘনিষ্ঠ। তাঁর সঙ্গে ফ্ল্যাটের আর এক বাসিন্দা নগেন্দ্র রাইয়ের বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। পেশায় চিকিৎসক নগেন্দ্রবাবুকে ওই ব্যক্তি প্রায়ই হুমকি দিতেন বলে অভিযোগ। গতকাল ঝামেলা চরমে উঠলে বেদপ্রকাশ তিওয়ারি সোনালি গুহকে হস্তক্ষেপ করতে অনুরোধ জানান। রাতে অন্তত ২০-২৫ জন যুবককে নিয়ে সোনালিদেবী সেখানে হাজির হন। সঙ্গে ছিল গোলাবাড়ি থানার পুলিশও।
অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা পুলিশের সামনেই অশ্রাব্য গালাগালাজ করে নগেন্দ্র রাইকে। ফ্ল্যাটের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই চিকিৎসককে মারধর করা হচ্ছে। হাত লাগান সোনালিদেবী নিজেও। তিনি মারতে মারতে বলেন, "আপনাদের অনেক ফটফট করতে শুনেছি। বেশি ফটফট করলে ফ্ল্যাটে তালা ঝুলিয়ে দেব। আমাকে পুলিশ দেখিয়ে লাভ নেই। আই অ্যাম দ্য চিফ মিনিস্টার। আই অ্যাম দ্য গভর্নমেন্ট। বেশি বাড়াবাড়ি করলে পশ্চিমবঙ্গেই থাকতে পারবেন না।"
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই শুরু হয়। সোনালিদেবীর পাল্টা প্রতিক্রিয়া, "আমরা কেউ মারধর করেননি। উনিই গালাগাল দিয়েছেন। তৃণমূলের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছে শুনে আমিই ওদের বাঁচাতে ছুটে গিয়েছিলাম।"
প্রসঙ্গত, এর আগেও সোনালিদেবীর 'গুন্ডামি'-র সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। কয়েক বছর আগে রাজ্যের একটি থানায় ঢুকে তিনি ডিউটি অফিসারকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন, "*** বাচ্চা। জিভ টেনে ছিঁড়ে নেব শালা, *** বাচ্চা।" সেই ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়ার পরও অনুতাপ প্রকাশ করেননি তিনি।