গণতন্ত্রের রূপান্তর! মুলতবির পরও রাজ্যসভা ছাড়তে অস্বীকার করায় সাসপেন্ড ৮ সাংসদ
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়ান এবং আপের সাংসদ সঞ্জয় সিংহ-সহ আটজন সংসদ সদস্যকে বরখাস্ত করা নিয়ে চর্চা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়ান এবং আপের সাংসদ সঞ্জয় সিংহ-সহ আটজন সংসদ সদস্যকে বরখাস্ত করা নিয়ে চর্চা চলছে জাতীয় রাজনীতিতে। কৃষি বিল পাসের সময় তাঁদের অযৌক্তিক আচরণের কারণে বর্ষাকালীন অধিবেশনের অবশিষ্টাংশ থেকে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে এখন উত্তাল রাজনীতি।
কংগ্রেসের রাজীব সাতভ, সৈয়দ নাসির হুসেন এবং রিপুন বোরা, তৃণমূলের দোলা সেন এবং ডেরেক ও'ব্রায়েন, সিপিএমের কে কে রাগেশ এবং এলামরাম কারেন এবং আপের সঞ্জয় সিংহকে বরখাস্ত করা হয়। এই আট সাংসদের বরখাস্তের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল উচ্চ কক্ষে মুলতবির পরও দাবিতে অনড় থাকায়।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু, ভাইস-চেয়ারম্যান হরিবংশ কৃষি বিলের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের নোটিশ প্রত্যাখ্যান করার পরে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে রাজ্যসভায়। দু'টি কৃষি বিল যেভাবে পাস হচ্ছে, তার বিরোধিতা করে বিরোধী সদস্যরা রবিবার হাউসের ওয়েলে নেমে ঝড় তোলেন।
ভোটাভুটির দাবি না মিটতে তাঁরা কাগজপত্র ছিঁড়ে ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে শুরু করেন। ভাইস চেয়ারম্যান যখন সভাপতিত্ব করছিলেন উচ্চকক্ষের, তখন এই ঘটনা ঘয়ে। সাংসদদের আচরণের নিন্দা জানিয়ে নাইডু বলেন যে, হরিবংশ তাঁকে জানিয়েছিলেন "আপত্তিকর কথা বলে নির্যাতন করা হয়েছে"।
এরপরই বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিরোধী দলগুলি আটজন রাজ্যসভার সাংসদকে বরখাস্ত করার বিষয়ে সরকারকে লক্ষ্য করে এবং এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সংসদ চত্বরে অনির্দিষ্টকালের জন্য প্রতিবাদে সামিল হল। বরখাস্তের পর তাঁরা নীরব থাকবেন না বলে জানান। তাঁরা বলেন, আমরা কৃষকদের সমর্থনে লড়াই চালাচ্ছি। কৃষকদের স্বার্থরক্ষাই তাঁদের উদ্দেশ্য। তাঁদের এই আন্দোলন চলতেই থাকবে।