সরকারের আর্থিক প্যাকেজে ভাবা হয়নি শ্রমজীবীদের কথা! মোদীর সেলফ রিলায়েন্সের ব্যাখ্যা সেলিমের
সবাই অপেক্ষা করেছিল, নির্মলা সীতারমন ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করবেন, তার জন্য। কিন্তু তা হয়ে দাঁড়াল গত কয়েকটা বাজেটের মতো। প্রতিক্রিয়া সেলিমের।
সবাই অপেক্ষা করেছিলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করবেন, তার জন্য। কিন্তু তা হয়ে দাঁড়াল গত কয়েকটা বাজেটের মতো। তিনি বক্তৃতা করলেন, সাহিত্য করলেন এবং প্রধানমন্ত্রী গুণগান করলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না। কেন্দ্রের ঘোষিত অর্থনৈতিক প্যাকেজ নিয়ে এমনটাই প্রতিক্রিয়া সিপিএম পলিটব্যুরোর সদস্য মহঃ সেলিমের।
করোনা আবহে অনলাইনে চিকিৎসা পরামর্শ! সহযোগিতায় পিআরসি ও স্টুডেন্টস হেলথ হোম
পুরনো স্কিমের রিপিট
সিপিএম নেতা মহঃ সেলিমের অভিযোগ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী কেন্দ্রের পুরনো সব প্রকল্পের রিপিট করেছেন। আর যে ঘোষণা করেছেন, তার মধ্যে একটা দুটো কাজের কথা ছাড়া বাকি সব জুমলাই। তাঁর অভিযোগ এই ঘোষণার মাধ্যমে মানুষকে বোকা বানানো হয়েছে।
প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে কটাক্ষ
সেলিম বলেন প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাটাতো যিনি জমাচ্ছেন তাঁরই। ফলে সেখানে ১২ শতাংশের বদলে ১০ শতাংশ করায় যিনি কর্মী, তিনি তাঁর মাইনের সঙ্গে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছেন। এখানে কীভাবেব সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন এইসব কর্মী কিংবা শ্রমিকরা। প্রশ্ন করেছেন সেলিম। কন্ট্রাক্টরদের ছয়মাস সময় বাড়ানো হয়েছে। এতে সরকারের বাড়তি খরচ কোথায়, প্রশ্ন করেছেন সিপিএম নেতা।
সমস্যার দিকে নজর নেই
কিন্তু দেশে যে কৃষির সমস্যা, বেকারির সমস্যা, অর্থনৈতিক সংকট, পরিযায়ী শ্রমিকদের রেলের ভাড়া মকুব হল কি হল না, মন্তব্য করেছেন তিনি। ডায়রেক্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সেখানে কত টাকা এখনও পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন করেছেন সেলিম। তিনি বলেন, বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার করে আনা এবং ১৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। কিন্তু ১৫ হাজার টাকা করেও ডায়রেক্ট ট্রান্সফার করা হয়নি। তিনি বলেন, এটা করতে পারলে লোকে খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারত।
ভাবা হয়নি শ্রমজীবিদের কথা
মহঃ সেলিমের অভিযোগ কারখানা চালুর কথা বলা হচ্ছে কিন্তু শ্রমজীবি মানুষগুলোর কথা বলা হয়নি। ছোট দোকানদার, কর্মচারী, হকার, ভেন্ডার, যাঁরা টোটো টালায়, যাঁরা অটো চালায়, অনেকে লোন নিয়ে গাড়ি কিনেছিল, তাঁদের আয়ও তো বন্ধ। তাঁদের জন্য কোনও প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়নি। মন্তব্য করেছেন সেলিম।
ঘোষণা নয় জুমলা
বলা হয়েছে যাঁদের ৫ কোটির টার্নওভার, এককোটির বিনিয়োগ তারা ঋণ পাবে, ৩ লক্ষ কোটি টাকা। সেলিমের প্রশ্ন যদি ৪৫ লক্ষ বেনিফিশিয়ারি হয়, তাহলে একএখজন ৬ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা করে পাবেন। তাঁর প্রশ্ন এক কম টাকা ঋণ নিয়ে কী হবে। তিনি এব্যাপারে বিহার নির্বাচনের সময় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন সমাজ আত্মনির্ভর না হলে অর্থনীতি আত্মনির্ভর হবে না।
মোদীর সেলফ-রিলায়েন্সের ব্যাখ্যা
সেলিম কটাক্ষ করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী সেলফ-রিলায়েন্সের কথা বলেছেন। সাধারণভাবে এই শব্দ বন্ধনির মধ্যে হাইফেন থাকে। কিন্তু মোদী সরকার এই সেলফ ও রিলায়েন্সের মধ্যে অ্যান্ড বসিয়ে দিয়েছে। তাঁর কটাক্ষ আত্মনির্ভরতা বাড়াতে গিয়ে তিনি রিলায়েন্সের ওপর নির্ভরতা বাড়াচ্ছেন।