সিপিএম ‘নাস্তিকতা’ থেকে সরে আসছে! জনসংযোগের আঙ্গিকে দাওয়াই এবার ধর্ম
সম্প্রতি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির তরফে এক অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে এবার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম এসে ব্যবহার করবে তারা।
২০২১-এর আগে প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পেতে খানিক আদর্শ থেকে সরে আসতে চাইছে সিপিএম। সম্প্রতি ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির তরফে এক অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মীয় উৎসব ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে এবার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম এসে ব্যবহার করবে তারা। তারা আর পরম নাস্তিকতা নিয়ে বসে থাকবে না।
জনসংযোগের মাধ্যম ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান
ক্ষমতা হারানোর ৯ বছর কেটে যাওয়ার পর সিপিএমের খেয়ালে এল তাঁরা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তাই জনসংযোগ দরকার তাদের। সেই জনসংযোগের জন্যই এখন সিপিএম বেছে নিচ্ছে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উৎসবকে। অর্থাৎ আরএসএসের সঙ্গে সম্মুখ সমরে নেমেই তাঁরা প্রাসঙ্গিক হতে চাইছে আবার।
এটা কোনও ধর্মীয় অ্যাজেন্ডা নয়
সিপিএম এবার বোঝাতে চাইছে আমরা মানুষের সঙ্গে আছে। আরও বেশি করে থাকতেই মানুষের পরিষেবায় নিয়োজিত প্রাণ আমাদের। তবে সিপিএম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটা কোনও ধর্মীয় অ্যাজেন্ডা নয়। মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের উপায় তৈরি করতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সুজনের ব্যাখ্যায় ধর্মীয়-সংযোগ
সেইসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মোকাবিলার চেষ্টায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে জনসংযোগের মাধ্যম হিসেবে তুলে ধরছি। তাই আমরা আমরা ধর্মনিরপেক্ষ লোকদের মন্দির কমিটির দিকে ঠেলে দেওয়ার কথা বলেছি। এর অর্থ এই নয় যে, আমরা এই কমিটিগুলিতে কমিউনিস্টদের প্রেরণ করব।
সামাজিকভাবে সংযুক্ত হওয়ার সেরা উপায়
তিনি বলেন, মন্দির চত্বরে বইয়ের স্টল এবং মেডিকেল সেন্টার স্থাপনও নতুন কিছু নয়। দুর্গা পূজা, কালী পূজা এবং অন্যান্য বড় উৎসব চলাকালীন আমরা সবসময় পূজা প্যান্ডেলগুলির কাছে স্টল রেখেছি। এখনও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতে সেই ধরনের কাজ করব। কেননা এটি সামাজিকভাবে সংযুক্ত হওয়ার সেরা উপায়। মন্দিরের মতো স্থায়ী কাঠামোয় স্থায়ী স্টল স্থাপন করে আমরা কেবল সামাজিক বক্তৃতা দেওয়ার সুযোগটি বাড়িয়ে নিতে চাইছি।