মুখ্যমন্ত্রীর মিস হ্যান্ডেলিংয়েই পাহাড় জ্বলছে, মমতাকে নিশানায় কী বললেন অশোক
পাহাড়ের জাত্যাভিমানে আঘাত করা হয়েছে। তা মানবেন কেন পাহাড়বাসী? সেই কারণেই আজ পাহাড়ে আগুন জ্বলছে। পাহাড় ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ অশোক ভট্টাচার্যের।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিস হ্যান্ডেলিংয়ের জন্যই আজ পাহাড় জ্বলছে। দার্জিলিংকে বিপাকে ফেলে তিনি এখন দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন। পাহাড় সমস্যার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে কড়া আক্রমণ শানালেন সিপিএমের প্রাক্তনমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য।
বীরভূমের নলহাটিতে দলীয় কর্মী সম্মেলনে রবিবার অশোকবাবু বলেন, দার্জিলিংকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আলাদা করে দিতে চাইছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, 'দার্জিলিং এখন রাজ্য সরকারের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। তাই মাথাটাই কেটে ফেলতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দার্জিলিংকে রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করার লক্ষ্যেই এগচ্ছেন তিনি।'
মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'শুধু বড় বড় কথা বললেই হয় না। পাহাড় সমস্যার জন্য দরকার সঠিক পথে আলোচনার। সেই আলোচনার পথই বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রী শুধু ব্যস্ত পাহাড়ে পুলিশ ও সেনা পাঠাতে। মুখে মুখে বড় কথা বলে আর বন্দুকের নল এগিয়ে দিয়ে সমস্যার সমাধান করা যায় না।
তৃণমূলের আমলে পাহাড় তো শান্তিই ছিল। হঠাৎ কী এমন হল যে কারণে আগুণ জ্বলছে পাহাড়ে? এ প্রশ্নের উত্তরে অশোকবাবু বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল জাতিসত্ত্বা বোঝেন না। না জেনে-বুঝে তিনি পাহাড়ের জাত্যাভিমানে আঘাত করেছেন। তা মানবেন কেন পাহাড়বাসী? সেই কারণেই আজ পাহাড়ে আগুন জ্বলছে।
এদিন অশোকবাবু প্রশ্ন তোলেন, জিটিএ চুক্তি অবজ্ঞা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তিনি দার্জিলিংয়ে ১৫টি বোর্ড গঠন করে পাহাড়ের মানুষকে উসকে দিয়েছেন। তারপর ভাষা নিয়ে মন্তব্য করে সেই আগুনে ঘি ঢেলেছেন তিনিই। তাই পাহাড়ের আগুন নেভার কোনও লক্ষণ নেই। ক্রমেই পাহাড় আন্দোলনের ভয়াবহতা বাড়ছে।
অশোকবাবুর অভিযোগ, এই কঠিন পরিস্থিতিকে কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় তা জানা নেই তৃণমূল সরকার তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই পাহাড়ের পরিস্থিতি দিন দিন ঘোরালো হয়ে উঠছে। একই অবস্থা হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে। সব কিছুতেই কি দখলদারি মানসিকতা চলে? অথচ মুখ্যমন্ত্রী সমতল থেকে পাহাড় সর্বত্রই জবরদখলের রাজনীতি করে চলেছেন।