রাতভর নিখোঁজ থাকার পর খুন আনিসুর রহমান, সিপিএম নেতার রক্তাক্ত দেহ ফুটবল মাঠে
রাতভর নিখোঁজ থাকার পর সিপিএম নেতার মৃতদেহ উদ্ধার হল মাঠ থেকে। গলায় ফাঁস বাধা অবস্থায় ওই সিপিএম নেতার দেহ পড়েছিল মাঠের মাঝখানে।
মালদহ, ৪ এপ্রিল : রাতভর নিখোঁজ থাকার পর সিপিএম নেতার মৃতদেহ উদ্ধার হল মাঠ থেকে। গলায় ফাঁস বাধা অবস্থায় ওই সিপিএম নেতার দেহ পড়েছিল মাঠের মাঝখানে। মঙ্গলবার সকালে মালদহের ইংরেজবাজার থানা এলাকার বাবুপুর গ্রামে ঘটে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
পুলিশ
জানিয়েছে
নিহত
সিপিএম
নেতার
নাম
আনিসুর
রহমান।
বয়স
৬২।
তিনি
ইংরেজবাজারের
নরহাটা
গ্রাম
পঞ্চায়েতের
সদস্য
ছিলেন।
দেহ
উদ্ধার
করতে
গেলে
সিপিএম
কর্মীরা
পুলিশকে
ঘিরে
বিক্ষোভ
দেখান।
তাঁরা
তাঁদের
নেতার
দেহ
আটকে
রাখেন।
অবিলম্বে
দোষীদের
গ্রেফতারের
দাবি
তোলা
হয়।
পুলিশের
বিরুদ্ধেও
অনাস্থা
প্রকাশ
করেন
সিপিএম
কর্মীরা।
তাঁদের
দাবি
সিবিআই
তদন্ত
করতে
হবে।
রাজ্য
পুলিশের
তদন্তের
প্রতি
তাঁদের
কোনও
আস্থা
নেই।
আনিসুর রহমান এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী ছিলেন। সোমবার রাতে তিনি মাদ্রাসার একটি বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পরই ফের একটি ফোন আসে। সেই ফোন পেয়েই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি। আর ফিরে আসেননি। রাতেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। মঙ্গলবার সকালে বাবুপুর ফুটবল মাঠের পাশে তাঁর দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশে ছিল ক্ষতচিহ্ন। গলায় ছিল ফাঁস লাগানো। পাশেই পড়েছিল তাঁর সাইকেল।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে বাড়ির অদূরেই তাঁর ভাইপোকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত মামলার রায় হওয়ার কথা ছিল সম্প্রতি। ভাইপোকে খুনের বিচার প্রক্রিয়ার তদারকি তিনিই করছিলেন। রায়ের আগেই কাকার খুন হওয়ার পিছনে তাই অন্য চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে পরিবার। এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কোন্দল রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে।